ফুড পয়জনিং, ব্যাক্টেরিয়াজনিত সংক্রমণ কিংবা ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া থেকেও পেটখারাপ হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
খাওয়ার কথা শুনলে, আর পছন্দের খাবার পদ হলে নিজেকে আটকে রাখা মুশকিল। খেতে যাঁরা ভালবাসেন, তাঁদের খাওয়ার সময়ে খেয়াল থাকে না, কতটা খাওয়া তাঁর পক্ষে ঠিক। লাগামহীন হয়ে যা খুশি তা-ই খেয়ে পেটের হাল, বেহাল হয় প্রায়ই। কিন্তু পুজোর সময়ে ঠাকুর দেখতে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে যদি পেট গড়বড় করে, তখন তো বিপদ। রাস্তার পাশে সাধারণ শৌচালয় থাকলেও তৎক্ষণাৎ ভিড় ঠেলে, ছুটে যাওয়া সম্ভব না-ও হতে পারে। তবে আমাশা যে শুধু খাবার থেকেই হয়, তা নয়। ফুড পয়জনিং, ব্যাক্টেরিয়াজনিত সংক্রমণ কিংবা ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াতেও এমনটা হতে পারে। বাড়াবাড়ি হলে তো চিকিৎসকের কাছে যেতেই হবে। তবে তার আগে ঘরোয়া তিন টোটকা খেয়ে দেখা যেতে পারে।
১) চিঁড়ে ভেজানো জল
একটি পাত্রে এক মুঠো চিঁড়ে ভিজিয়ে রাখুন। সামান্য নুন এবং চিনি দিয়ে সেই জল খেয়ে নিন। দু’-তিন বার খাওয়ার পরেই বেগ কমে আসবে। এই সমস্যা সমাধানে অনেকে আবার ভাতের ফ্যানও খেয়ে থাকেন।
২) কলা
কাঁচা হোক বা পাকা, পেট খারাপের সমস্যায় কলা দারুণ উপকারী। কাঁচা কলা দিয়ে পাতলা ঝোল, কিংবা তরকারি খেতেই পারেন। পাকা কলাতে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি। তাই শরীর থেকে অনেকটা জল বেরিয়ে গেলেও ডিহাইড্রেশনের ভয় নেই।
৩) টক দই
পেটে যদি ব্যাক্টেরিয়াঘটিত কোনও সংক্রমণ হয়, তার সঙ্গে মোকাবিলা করতে অন্ত্রের ভাল ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে হবে। এই কাজ সহজেই করতে পারে টক দই। চাইলে লস্যি বা ঘোল করেও খেতে পারেন।
(ঘরোয়া টোটকা সকলের উপকারে না-ও লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।)