ভস্তক।
বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক রকমের পছন্দের কথা উঠে আসে। যে কোনও গরমের দেশের মানুষের যেমন হাওয়া বদল করতে ঠান্ডার দেশে যাওয়ার ভাবনা থাকে। ঠিক যেমন উল্টোটা ঘটে শীতের দেশের লোকেদের ক্ষেত্রে। বরফ দেখে ক্লান্ত হয়ে রোদ পোয়াতে গরম দেশে গিয়ে ছুটি কাটান তাঁরা। এমনও দেশ আছে যেখানে বরফ গলিয়ে তবে জল খেতে হয় বাসিন্দাদের। তেমন দেশ দেখতে ইচ্ছা করছে কি?
পরের ছুটি কাটানোর ঠিকানা হিসাবে বেছে নেওয়া যায় তেমন তিনটি শহর। পৃথিবীর সবচেয়ে ঠান্ডা শহরগুলির তালিকায় রয়েছে এই তিনটি নাম। এ সব জায়গা বছরের একটি বড় সময় জুড়ে থাকে বরফে ঢাকা।
ভস্তক, আন্টার্টিকা
দক্ষিণ মেরু থেকে ১০০০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্তিত একটি গবেষণাকেন্দ্র। কয়েক জন বিজ্ঞানীর বসবাস এই অঞ্চলে। দুনিয়ার সবচেয়ে শুষ্ক এলাকার মধ্যে এটি একটি। বছরের কোনও কোনও সময়ে -১২৯ ডিগ্রিতেও নেমে যায় তাপমাত্রা। মে মাস থেকে অগস্ট পর্যন্ত এই গবেষণাকেন্দ্রে কোনও সূর্যের আলো পৌঁছয় না।
নুরসুলতান, কাজকাস্থান
শীতকালে এই শহরে তাপমাত্রা নেমে যায় মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। প্রায় ৮০,০০০ মানুষের বসবাস এখানে। এ হল দুনিয়ার দ্বিতীয় শীতলতম শহর। গ্রীষ্মকালে সহনশীল তাপমাত্রা থাকে এখানে, তবে শীতের মাসগুলি খুবই শুষ্ক। অতিরিক্ত ঠান্ডা থাকে এ সময়ে।
স্নাগ, কানাডা
কানাডার এই ছোট্ট গ্রামটিও জায়গা করে নিয়েছে পৃথিবীর শীতলতম জায়গা হিসাবে। ১৯৪৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি এখানে তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল মাইনাস ৬৭ ডিগ্রিতে। গোটা উত্তর আমেরিকায় সেটিই ছিল শীতলতম দিন। শীতকালে তাপমাত্রা এতই নেমে যায় যে প্রায় গোটা সময়টিই ঘরবন্দি হয়ে কাটাতে হয় বাসিন্দাদের।