Free WiFi

নিখরচার ওয়াইফাই পরিষেবা ব্যবহার করছেন? আপনার ফোন নিরাপদ তো?

এই ওয়াইফাই কাজে লাগিয়ে সিনেমা ডাউনলোড বা মেসেজ পাঠানো পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে বিপদ ডেকে আনতে পারে ‘পাবলিক ওয়াইফাই’।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২১ ১৮:৩২
ওয়াইফাই ব্যবহার করার আগে সাবধান।

ওয়াইফাই ব্যবহার করার আগে সাবধান। ছবি: সংগৃহীত

তা সে রেল স্টেশন, বিমানবন্দর হোক কিংবা হোটেল— সুযোগ পেলেই বিনা পয়সার ওয়াইফাই-কে কাজে লাগানোর অভ্যাস আছে কি আপনার? এই ওয়াইফাই কাজে লাগিয়ে সিনেমা ডাউনলোড বা মেসেজ পাঠানো পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে বিপদ ডেকে আনতে পারে ‘পাবলিক ওয়াইফাই’।

এ ধরনের ওয়াইফাই ব্যবহার করে কোন কোন কাজ করবেন না? জেনে নিন।

Advertisement

অনলাইনে কেনাকাটা: রেলস্টেশনে বসে আছেন। স্টেশনের ওয়াইফাই ব্যবহার করতে করতে মনে হল, অনলাইনে টুকটাক কিছু কিনে ফেলবেন। ব্যস! না চাইতেই বড় বিপদ ডেকে আনছেন আপনি। এই সংযোগ ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে যখনই আপনি ক্রেডিড বা ডেবিট কার্ড দিয়ে কেনা জিনিসের দামটি দিতে যাবেন, তার তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে। অ্যাকাউন্ট থেকে চুরি হয়ে যেতে পারে টাকাও। তাই সাবধান!

ব্যাংকের অ্যাপ ব্যবহার: রেস্তঁরায় খেতে গিয়েছেন। হঠাৎ মনে পড়ল, ক্রেডিট কার্ডের বিল দেওয়া বাকি। রেস্তঁরার ওয়াইফাই কাজে লাগিয়েই ঢুকে পড়লেন ব্যাংকের অ্যাপে। এতেও চুরি হয়ে যেতে পারে আপনার ব্যাংকের তথ্য, এমনকি টাকাও। নামী রেস্তঁরার ওয়াইফাই সাধারণত ‘সিকিওর’ তকমা যুক্ত হয়। তাতে বিপদের আশঙ্কা থাকে না। কিন্তু তবু এই কাজ এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।

যে কোনও ওয়েবসাইটে ঢোকা: ব্রাউজারের মাধ্যমে কোনও ওয়েবসাইটে ঢুকছেন? পাবলিক ওয়াইফাই কাজে লাগিয়ে এই কাজ করলে, তার আগে ভাল করে দেখে নিন যে ওয়েবসাইটে ঢুকছেন, তার ইউআরএল-টি ঠিক কেমন? ইউআরএল-এর শুরুতে শুধু এইচটিটিপি (http://) আছে, নাকি এইচটিটিপিএস (https://) আছে? যদি প্রথমটি হয়, তা হলে জেনে রাখবেন, আপনার ফোনের তথ্য আর নিরাপদ নাও থাকতে পারে।

আরও পড়ুন
Advertisement