আখরোট কী ভাবে মাখলে ত্বকের জেল্লা ফিরবে, বলিরেখা দূর হবে? ছবি: ফ্রিপিক।
আখরোট শুধু শরীরের জন্য নয়, ত্বকের জন্যও উপকারী, কারণ এতে ওমেগা-৩, ৬, ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বককে উজ্জ্বল, মসৃণ ও বলিরেখা মুক্ত করতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি, ভিটামিন ই ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ আখরোট ত্বকের বলিরেখা রোধ করে ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল ও চকচকে।
আখরোটে থাকে লিনোলেয়িক ও ওলেইক অ্যাসিড যা ত্বকের স্বাভাবিক জেল্লা ধরে রাখতে পারে। ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। আখরোটের 'অ্যান্টি-এজিং' গুণ রয়েছে, যা অকালে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রুখতে পারে। 'জার্নাল অফ ফাংশনাল ফুড'-এ প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুসারে, সোরিয়াসিসের মতো চর্মরোগ থাকলেও ব্যবহার করা যাবে আখরোটের তেল। এটি ত্বকের প্রদাহ নাশ করে, ফলে ত্বকের যে কোনও সংক্রমণ জনিত অসুখ প্রতিরোধ করতে পারে।
ত্বকের দাগছোপ তুলতে আখরোটের তেল সবচেয়ে বেশি উপযোগী। কী ভাবে মাখতে হবে সে প্রণালী জেনে রাখা ভাল।
হাইড্রেটিং মাস্ক
আখরোটের তেলের সঙ্গে এক চামচ মধু ও এক চামচ দই মিশিয়ে হাইড্রেটিং মাস্ক বানিয়ে নিন। এটি ত্বকে মেখে ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
লিপ বাম হিসেবে
আখরোটের তেলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে তা ঠোঁটে লাগিয়ে রাখতে পারেন সারা রাত। এতে ঠোঁটের ত্বক নরম ও জেল্লাদার হবে। এর সঙ্গে নারকেলের তেল মিশিয়েও মাখা যাবে।
চোখের নীচের কালি দূর করতে
রাতে শোয়ার আগে অল্প করে চোখের তলায় আখরোট তেল লাগাতে পারেন। নিয়মিত মাখতে পারলে খুব তাড়াতাড়ি মিলিয়ে যাবে চোখের তলার কালি।
ব্রণ দূর করতে
১ চামচ আখরোট গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে ২ চা চামচ গোলাপজল, ১ চা চামচ অলিভ অয়েল এবং আধ চা-চামচ মধু। সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে মুখে মেখে মিনিট দশেক রাখুন। তার পর ঈষদুষ্ণ জলে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। মাসে তিন-চার বার এই মাস্ক ব্যবহার করলে ত্বকের ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা দূর হবে।