ভারত সরকারের তৈরি করা ‘ওপেন নেটওয়ার্ক ফর ডিজ়িটাল কমার্স’-এর মাধ্যমে ক্রেতাদের সরাসরি খাবার বিক্রি করতে পারবে রেস্তরাঁগুলি। ছবি- সংগৃহীত
ভারতে সুইগি, জ়োম্যাটোর মতো খাবার সরবরাহকারী সংস্থার জনপ্রিয়তা বাড়ছে দিনে দিনে। মধ্যরাত হোক বা ভরদুপুর, যে কোনও সময় খাবার পৌঁছে দিতে পারে খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই দেশে একাধিক সংস্থা এই ব্যবসায় তাদের হাত পাকিয়েছে। তবে, এ বার আর সেই সব অ্যাপের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে খাবার অর্ডার করতে হবে না। ভারত সরকারের তৈরি করা ‘ওপেন নেটওয়ার্ক ফর ডিজ়িটাল কমার্স’ এর মাধ্যমে ক্রেতাদের সরাসরি খাবার বিক্রি করতে পারবে রেস্তরাঁগুলি।
দেশে একাধিক রেস্তরাঁ থাকলেও খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য সকলের নিজস্ব ব্যবস্থা থাকে না। তাই সুইগি বা জ়োম্যাটোর মতো খাবার সরবরাহকারী সংস্থাগুলির সাহায্য নিতে হয়। এই সুবিধা পেতে গেলে খাবারের দামের তুলনায় অতিরিক্ত মূল্য ব্যয় করতে হয়। যার ফলে খাবারের আসল দামের সঙ্গে অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে আনা খাবারের দাম অনেকটাই বেশি হয়। যা বহু ক্রেতার কাছে সমস্যার কারণও বটে। কিন্তু এই ‘ওএনডিসি’র মাধ্যমে খাবার আনাতে স্বাভাবিক ভাবেই সেই পরিমাণ অর্থ দিতে হয় না। ফলে খাবারের আসল দাম, ডেলিভারি চার্জ এবং কর মিলিয়ে মোট দামের সঙ্গে অনেকটাই ফারাক নজরে পড়ছে ক্রেতাদের। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে বেঙ্গালুরু শহরে প্রথম এই সুবিধা চালু করা হয়। তার পর থেকে অন্যান্য শহরেও এই ব্যবস্থার জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে।
অন্যান্য জনপ্রিয় খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থার তুলনায় এই প্ল্যাটফর্মে খরচের পরিমাণ ঠিক কী রকম, তা উদাহরণস্বরূপ তুলে ধরা হয়েছে। ধরা যাক, কোনও একটি সংস্থা থেকে জ়োম্যাটোর মাধ্যমে ৪টি বার্গার অর্ডার করা হয়েছে। সেই একই পরিমাণ খাবার অর্ডার দেওয়া হয়েছে সুইগি এবং ‘ওএনডিসি’তেও। তিনটি আলাদা আলাদা সংস্থা থেকে আনা একই খাবারের মূল্য যথাক্রমে ৭০২ টাকা, ৭৬৮ টাকা এবং ৬৩৯ টাকা।
কী ভাবে এই সুবিধা পাওয়া যাবে?
আপাতত ফোনে ‘পেটিএম’ অ্যাপ থাকলেই হবে। সেখানে গিয়ে ‘ওএনডিসি’ লিখলেই খাবার সরবরাহ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। সুইগি, জ়োম্যাটোর মতোই একাধিক রেস্তরাঁর তালিকা রয়েছে সেখানে। শুধু কি তাই? ইনস্টামার্ট, ব্লিঙ্কইট বা জ়েপটোর মতো নিত্য প্রয়োজনীয় মুদিখানার জিনিসও মিলবে সেখানে।