Technology

Bluetooth Headphones: সারা দিন ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহার করছেন? ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে না তো

হালে বিভিন্ন মহলে দাবি উঠেছে, ব্লুটুথ ইয়ারফোন-হেডফোন ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। কথাটি কি ঠিক?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২১ ১৬:৪০
ব্লুটুথ ইয়ারফোন কি বিপদ ডেকে আনছে?

ব্লুটুথ ইয়ারফোন কি বিপদ ডেকে আনছে? ছবি: সংগৃহীত

প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বদলে গিয়েছেন মোবাইল ফোন আর তার যন্ত্রপাতির ধরন। এখন ফোনে কথা বলা বা গান শোনার জন্য বহু মানুষই ব্লুটুথ হেডফোন এবং ইয়ারফোন ব্যবহার করেন। কয়েক বছর আগেও এত ব্যাপক ভাবে এগুলির ব্যবহার হত না। কিন্তু এই ব্লুটুথ কি শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলছে?

হালে বিভিন্ন মহলে দাবি উঠেছে, ব্লুটুথ ইয়ারফোন-হেডফোন ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। কথাটি কি ঠিক?

ব্লুটুথ থেকে রেডিয়ো ফ্রিক্যুয়েন্সি নির্গত হয়। ২.৪ গিগাহার্ৎজে এই রেডিয়ো ফ্রিক্যুয়েন্সি কাজ করে। ব্লুটুথ থেকে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন হয়। এই রেডিয়েশন দু’ধরনের। আয়োনাইজিং এবং ননআয়োনাইজিং। ব্লুটুথ থেকে যে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন হয়, সেটি ননআয়োনাইজিং। এই ধরনের রেডিয়েশন ক্যানসার-সহ নানা ধরনের সমস্যার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিতে পারে।

Advertisement

তবু অনেকের দাবি, ব্লুটুথ ইয়ারফোন এবং হেডফোনের কারণে ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়ে না। কারণ এই যন্ত্র থেকে রেডিয়েশনের মাত্রা খুবই কম। কথাটি সত্যি। কিন্তু হালে বিজ্ঞানীরা অন্য একটি সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। সেটি হল ‘স্পেসিফিক অ্যাবসর্পশন রেট’ বা ‘এসএআর’।

কী এই ‘এসএআর’? রেডিশনের কতটা শরীরে ঢুকছে তার মাত্রা এটি। ব্লুটুথ ইয়ারফোন এবং হেডফোনে রেডিয়েশনের মাত্রা খুব কম হলেও এগুলি শরীরের, বিশেষ করে মাথার এত কাছে থাকে, যে ‘এসএআর’-এর মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। এবং সেটিই ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।

সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার জন ওয়েন ক্যানসার ইনস্টিটিউট-এর গবেষক-চিকিৎসক সন্তোষ কেশরি ‘হেল্থলাইন’ নামক জার্নালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, পরিসংখ্যান বলছে, নিয়মিত ব্লুটুথ হেডফোন এবং ইয়ারফোন ব্যবহারের ফলে ক্যানসার-সহ অন্য অসুখের আশঙ্কা বেড়েছে। তাঁর মতে, ফোনে কথা বলার সময়ে স্পিকার চালু করলে বা তার-যুক্ত হেডফোন-ইয়ারফোন ব্যবহার করলে এই সমস্যার আশঙ্কা অনেক কমে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement