অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কইফ ফেসিয়াল অয়েল ব্যবহার করেন নিয়মিত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
দাগহীন, সুন্দর ত্বক পেতে ক্লিনজ়ার, টোনিং, ময়েশ্চারাইজ়িং জরুরি, বলেন রূপচর্চা শিল্পীরা। আবার নায়িকারা ফেসিয়াল অয়েল-ও মাখেন। সৌন্দর্য-রহস্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বি-টাউনের অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কইফ জানিয়েছিলেন, ঘুম থেকে উঠে প্রথম জল খান। তার পর মুখ পরিষ্কার করে এসেনশিয়াল অয়েল মাখেন।
রূপচর্চার জগতে ময়েশ্চারাইজ়ারের পাশাপাশি জায়গা করে নিয়েছে ফেসিয়াল অয়েল বা মুখে মাখার তেল। ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার হয় ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য। তবে ফেসিয়াল অয়েলের কাজ ঠিক কী, এই প্রশ্ন জাগে অনেকের মনেই। ত্বকের চিকিৎসক রাবিয়া মালিক বলছেন, ‘‘ফেসিয়াল অয়েল শুধু ত্বকের লাবণ্য বজায় রাখে না। বরং তা আর্দ্রতা ধরে রাখতেও সাহায্য করে।’’
ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজ়ার এবং তেলের ভূমিকা ভিন্ন, জানাচ্ছেন রাবিয়া। ময়েশ্চারাইজ়ার এবং সিরাম ত্বককে আর্দ্রতা জোগায়, মুখে মাখার তেল, ত্বকের পরিচর্যাতেও সাহায্য করে। কারও ত্বকের ধরন বেশি রুক্ষ হলে ময়েশ্চারাইজ়ারের সঙ্গে নির্দিষ্ট এসেনশিয়াল অয়েল বা ফেসিয়াল অয়েল মিশিয়ে মাখতে পারলে, আর্দ্রতার বর্ম ত্বককে সুরক্ষা দিতে পারে আরও বেশি।
রুক্ষ ত্বকের জন্য ভাল, মুখ তৈলাক্ত হলেও কি মাখা যায়?
ত্বকের ধরন তৈলাক্ত হলে ফেসিয়াল অয়েল মাখা যায় না, এমনটাই মনে করেন অনেকে। কারণ, ত্বক যখন তেলতেলে, তখন বাড়তি তেলে কাজ কী? ত্বক নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন তাঁরা বলছেন, এমন ত্বকের জন্য নির্দিষ্ট কিছু তেল বেছে নেওয়া যায়। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ফেসিয়াল অয়েল হবে একদম হালকা এবং এতে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান থাকলে ভাল। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার পর যখন মুখের স্বাভাবিক তেল ধুয়ে যায়, তখন এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। স্যালিসিলিক অ্যাসিড, রেটিনয়েডস-এর মতো উপাদান তৈলাক্ত মুখের জন্য ভাল। ত্বকের চিকিৎসক শ্যারন ওয়ং সতর্ক করছেন, নতুন কোনও প্রসাধনী প্রথম বার ব্যবহার করতে হলে ধীরে করাই ভাল। সামান্য পরিমাণ নিয়ে সপ্তাহে দু’বার কি তিন বার মেখে দেখা দরকার, ত্বকে তার কতটা প্রভাব পড়ছে।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
শুধু শীত নয়, ফেসিয়াল অয়েল ব্যবহার করা যায় বছরভর। তবে মরসুম অনুযায়ী তার ফর্মুলা আলাদা হতে পারে। ত্বকের মালিশের জন্য ফেসিয়াল অয়েল অত্যন্ত ভাল, বলছেন ত্বক নিয়ে চর্চাকারীরা। শুষ্ক ত্বকের জন্য ভিটামিন ই, গ্রেপ সিড্স, রোজ়, হোহোবা অয়েল ভাল। আবার জেল্লাহীন মুখের জন্য বেছে নেওয়া যায় ভিটামিন সি, ভিটামিন এ যুক্ত তেল।
মুখ ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে, মুছে ত্বকের উপযোগী কয়েক ফোঁটা তেল নিয়ে মুখে লাগিয়ে মালিশ করুন। সব সময় ত্বকের নীচ থেকে উপর দিয়ে মাসাজ বা মালিশ করতে হবে। গুয়াসা, জ়েড রোলারের মতো জিনিসের সাহায্যে মালিশ করলেও উপকার পাবেন।