বেলুন ফেটে মৃত্যু শিশুর। ছবি: সংগৃহীত।
জন্মদিনে ঘর সাজানো হয়েছিল গ্যাস বেলুন দিয়ে। আর সেই বেলুনের কারণেই মৃত্যু হল সদ্য ৭ বছরে পা দেওয়া আলেকজান্দ্রার। মৃত শিশুর মা কেটি সম্প্রতি ফেসবুকে গোটা ঘটনাটি জানিয়েছেন। বাকি বাবা-মায়েদেরকেও বেলুন ফোলানো থেকে শিশুকে দূরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
জন্মদিনের পার্টি তখন শেষ। অতিথিরাও একে একে চলে গিয়েছেন। কেটি ঘর পরিষ্কার করছিলেন। আলেকজান্দ্রা তার নিজের ঘরে বসে বেলুন নিয়ে খেলা করছিল। খেলার মাঝেই জন্মদিনে পাওয়া পুতুলের সঙ্গে টুকটাক কথাও বলে নিচ্ছিল। পুতুলের সঙ্গে মেয়ের কথোপকথন কানে আসছিল আলেকজান্দ্রার। হঠাৎই কিছু ক্ষণ পর তিনি আর কোনও সাড়াশব্দ পাচ্ছিলেন না। কিছু ক্ষণ পর ঘরে গিয়ে তিনি দেখেন যে, আলেকজান্দ্রা অসাড় হয়ে পড়ে আছে। বেলুন ফেটে চারদিকে তার টুকরো পড়ে আছে। কেটি প্রথমে ভেবেছিলেন মেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে।তাই তিনি আর ডাকেননি। কিন্তু ঘণ্টাখানেক পরেও আলেকজান্দ্রা উঠছে না দেখে তার গায়ে হাত দেন মা। তখনই দেখেন, শরীর ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। জোরে জোরে ডাকলেও কোনও সা়ড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
কেটি সঙ্গে সঙ্গে আলেকজান্দ্রাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানান, কিছু ক্ষণ আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুর। বেলুনে থাকা হিলিয়াম গ্যাস নাক দিয়ে শরীরে প্রবেশ করার ফলে মৃত্যু হয়েছে। হিলিয়াম অত্যন্ত ক্ষতিকর গ্যাস। শিশুদের জন্য আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। চিকিৎসকেদের অনুমান, কোনও ধারাল জিনিস দিয়ে বেলুনের গায়ে খোঁচা মারে আলেকজান্দ্রা। তার ফলেই বেলুন লিক করে গ্যাস বেরোতে থাকে। আর সেই গ্যাসের কারণেই মৃত্যু হয়েছে শিশুকন্যার।
মৃত শিশুর মা কেটি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘গোটা ঘটনাটি আমার কাছে অপ্রত্যাশিত। এমন যে হতে পারে, সেটা ধারণার বাইরে ছিল। বেলুন নিয়ে খেলতে খেলতে মেয়েটা মরে যাবে, বুঝতে পারিনি। অন্য বাবা-মায়েদের বলব, তাঁরা যেন বেলুন নিয়ে খেলার সময়ে সন্তানকে চোখে চোখে রাখেন।’’