পুজোর আগে পেটের খেয়াল রাখুন। ছবি: সংগৃহীত।
সারা বছর সুস্থ থাকতে ঘড়ি ধরে খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। সময়ে খাবার খেলে বহু অনিয়মেও সুস্থ থাকে শরীর। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলের একই মত। তবে শুধু সময়ে খাবার খেলে চলবে না। সময়ে সঠিক খাবার খেতে হবে। সময় মতো রোজ রোজ লুচি, পরোটা খেয়ে কোনও লাভ হবে না। সপ্তাহখানেক পরেই পুজো। উৎসব মানেই জমিয়ে ভূরিভোজ। পুজোর সময়ে নিয়ম মেনে চলা সম্ভব হয় না। পুজোর কয়েক দিনের অনিয়ম যাতে অসুস্থতা ডেকে আনতে না পারে, তার জন্য সতর্ক হতে হবে আগে থেকেই। পেটের যত্ন নিতে হবে। পেটের খেয়াল রাখতে খাওয়াদাওয়ায় খানিক বদল আনতে হবে। বিশেষ করে সকালের জলখাবারে। সকালের দিকে কোন খাবারগুলি খাওয়ার অভ্যাস করলে পুজোয় পেটের গোলমাল থেকে দূরে থাকবেন?
বাদাম
সকালের জলখাবারে বিভিন্ন ধরনের বাদাম রাখলে স্বাস্থ্য নিয়ে আর ভাবতে হবে না। আখরোট, কাজু, চিনা বাদামে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে প্রোটিন। এ ছাড়াও আছে ফাইবার, খনিজ পদার্থ, উপকারী ফ্যাটের মতো পুষ্টিগুণ। বাদাম মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীর চনমনে রাখে। ওজনও বা়ড়তে দেয় না।
সবুজ শাকসব্জি
শাকসব্জি দিয়ে নানা ধরনের খাবার তৈরি করা যায়। পাস্তা, চাউমিন তো আছেই সেই সঙ্গে স্যালাড, স্যুপও বানিয়ে নিতে পারেন। স্বাস্থ্যকর খাবার মানেই তা সুস্বাদু হবে না, সেই ধারণা ভুল। ঠিক করে বানালে সব্জির পদই সুস্বাদু হয়ে উঠবে। তা ছাড়া, পেটের যত্ন নিতেও পুজোর আগে এই খাবারগুলি বেশি করে খাওয়া জরুরি।
ডিম
শরীর চাঙ্গা রাখতে ডিমের জুড়ি মেলা ভার। ডিম হল প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস। শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ পর্যাপ্ত থাকলে রোগবালাইয়ের ঝুঁকি কম থাকে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও অনেক সহজ হয়ে যায়। প্রোটিন ছাড়াও ডিমে রয়েছে ভিটামিন বি এবং কোলিন। এই দু’টি উপাদান শরীর ভিতর থেকে চাঙ্গা রাখে।
গ্রিক ইয়োগার্ট
গ্রিক ইয়োগার্ট সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকরও বটে। প্রোটিন যুক্ত এই দই এমনিতেই অত্যন্ত উপকারী। এর সঙ্গে মধু ও বেরি মিশিয়ে নিলে তা আরও বেশি স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠবে। সহজে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে না। পেটও ভাল থাকবে।
প্রোটিন স্মুদি
এটি তৈরি করতে নিতে হবে একটি ২৫ গ্রাম মতো প্রোটিন পাউডার। তার সঙ্গে ফাইবারে সমৃদ্ধ কলা অথবা বেরি এবং এক চা চামচ চিয়া বীজ এবং পিনাট বাটার। এই সব কটি উপাদান নিয়ে মিক্সিতে বানিয়ে নিতে পারেন স্বাস্থ্যকর প্রোটিন স্মুদি। সকালে খেলে সারা দিন মন এবং শরীর চনমনে থাকবে।