বিশেষ করে শিশুর পরিচ্ছন্নতা নিয়ে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। প্রতীকী ছবি।
বাবা-মা হওয়া সহজ নয়। দু’জনের নির্ঝঞ্ঝাট জীবনে হঠাৎই গুরুদায়িত্ব এসে হাজির হয়। সন্তান কিছুটা বড় হয়ে গেলে তা-ও খানিক চিন্তামুক্ত হওয়া যায়। কিন্তু একরত্তির যত্ন নেওয়া মোটেই সহজ নয়। মুখে কথা ফোটেনি, ফলে কী সমস্যা হচ্ছে, তা প্রকাশ করতে পারে না শিশুরা। তাই বাবা-মাকেই সন্তানের সুবিধা-অসুবিধা বুঝে নিতে হয়। তা ছাড়া সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর যত্নআত্তিতে বেশ সচেতন থাকতে হয়। চাইলেই ইচ্ছেমতো সব করা যায় না। বিশেষ করে শিশুর পরিচ্ছন্নতা নিয়ে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। নতুন বাবা-মা হলে একরত্তির পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে কী করবেন এবং কোনগুলি নয়?
শিশুর পোশাক আলাদা করে কাচুন
বাজারচলতি ডিটারজেন্ট দিয়ে শিশুর পোশাক এবং ব্যবহৃত জিনিসগুলি ভুলেও কাচবেন না। তাতে শিশুর শরীরে র্যাশ, চুলকানি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শিশুর পোশাক পরিষ্কার করার জন্য আলাদা ডিটারজেন্ট পাওয়া যায়। সেগুলি দিয়ে কেচে নিন। শিশুর পোশাক পরিষ্কারের জন্য সব সময় তরল কোনও ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন।
শিশুর ত্বক আর্দ্র রাখুন
সদ্য জন্মানো শিশুর জন্য ক্ষারহীন ময়েশ্চারাইজার কিনতে পাওয়া যায়। স্নান করানোর পর শিশুকে সেই ময়েশ্চারাইজার মাখাতে পারেন। এতে শিশুর ত্বকে বাইরে থেকেও আর্দ্র থাকবে। সুগন্ধিযুক্ত কোনও ক্রিম অথবা ময়েশ্চারাইজার শিশুকে মাখাবেন না।
শিশুর মাথায় মালিশ করে দিন
মাঝেমাঝেই শিশুর মাথায় একটু মাসাজ করে দিন। এতে রক্ত চলাচল ভাল থাকবে। শিশুর মাথায় চুলও গজাবে দ্রুত। শুধু মাথায় নয়, হাত এবং পায়েও মালিশ করুন। পেশিগুলি শক্তিশালী হবে এর ফলে। নারকেল তেল অথবা একেবারেই বাচ্চাদের জন্য তৈরি কোনও তেল দিয়ে মাসাজ করে দিতে পারেন। তবে মালিশ করার সময়ে খুব বেশি চাপ দেবেন না।
বাইরে গেলে শিশুর প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে যান
শিশুকে নিয়ে কোনও কাজে বাড়ির বাইরে যেতে হলে সন্তানের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি সঙ্গে করে নিয়ে যান। ওয়াইপস, দুধের বোতল, তোয়ালে, প্রয়োজনীয় ওষুধ— কখন কী দরকার হবে, বলা যায় না। ফলে সবগুলি সঙ্গে রাখুন।