বিয়ের প্রথম বছরে কিয়ারা আডবাণী-সিদ্ধার্থ মলহোত্রার সম্পর্কের রসায়ন বেশ চর্চিত হচ্ছে বলিপাড়ায়। ছবি: সংগৃহীত
ঋজু-শমিতা, দশ বছরের দীর্ঘ প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর গত বছর ডিসেম্বর মাসে গাঁটছড়া বাঁধেন। ঋজুর নিজস্ব ব্যাবসা আর শমিতা বিজ্ঞাপন সংস্থায় কাজ করেন। দু’জনেই নিজের নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। বিয়ের ছ’মাস পেরিয়ে গেলেও দু’জনে মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ারও সময় বার করে উঠতে পারেননি। মাঝেমাঝে ঝগড়া-অশান্তিও হচ্ছে।
ধুমধাম করে অনুষ্ঠান হোক বা সইসাবুদের মাধ্যমে বিয়ের শুভক্ষণের প্রাতিষ্ঠানিক ঘোষণার সঙ্গে শুরু হয় দু’টি ভিন্ন মানুষের পাশাপাশি পথ চলা। সেই পথে চড়াই-উতরাই, মনোমালিন্য, এ সবই স্বাভাবিক। কিন্তু পরিবারের লোকজনের দেখাশোনা করেই বিয়ে হোক কিংবা নিজের পছন্দের ছেলের সঙ্গে সংসার পাতা, প্রথম বছরটা সব দম্পতির কাছেই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। বিয়ের ঠিক পরের সময়টা উপভোগ করতে জীবনে কোন কোন বদলগুলি আনা জরুরি?
একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য একটা সময় বরাদ্দ করুন
দু’জন মানুষ যখন একসঙ্গে থাকা শুরু করেন, তখন পরস্পরের নিজস্ব পরিসরটি বোঝা প্রয়োজন। দৈনন্দিন নানা সূক্ষ্ম বিষয়, একে-অপরের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া, এ সবের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সঙ্গীকে চেনার চাবিকাঠি। তাই দিনের একটা সময় নিজেদের আলাপচারিতার জন্য বরাদ্দ করুন। সকালে প্রথম চা-টা একসঙ্গে খেতে পারেন কিংবা রাতে খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটতে যান। একান্তে একে অপরের সঙ্গে সময় কাটান।
দাম্পত্যসুখের জন্য রোম্যান্স জরুরি
যদি মনে হয় কিছু সাধারণ চাওয়া-পাওয়ার বিষয়েও সঙ্গী যত্নবান নন, তবে দাম্পত্যের ভিতটাই নড়বড়ে হয়ে যায়। তাই একে অপরের মনে কী চলছে, তা জানা ভীষণ জরুরি। সঙ্গীর মন ভাল করার পথটাও কিন্তু আপনাকেই খুঁজে বার করতে হবে। ভালবাসা মনে থাকলেই হল না, ভালবাসা দেখাতেও হবে বইকি। সঙ্গীকে ছোটখোটো সারপ্রাইজ, সঙ্গীর প্রশংসা করা, মাঝেমধ্যেই দু’জনে কোথাও বেরিয়ে পড়া— এই ছোট ছোট বদল আনলেই কিন্তু দাম্পত্য মধুর হবে।
মাঝেমধ্যে একে অপরের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করা দরকার
বিয়ে করলে দায়িত্ব অনেকটাই বেড়ে যায়। পরিবার, কর্মক্ষেত্র সামলে সঙ্গীকেও সময় দিতে হয়। একে-অপরের প্রতি দায়বদ্ধতাও বাড়ে। তবে অনেক সময়েই আমরা সঙ্গীকে ধন্যবাদ বলি না। প্রিয়জনকে কথায় কথায় ধন্যবাদ জানানোর দরকার নেই। তবে মাঝেমধ্যে এই দু’টি শব্দ সামনের মানুষটির মন ভাল করে দিতে পারে। আপনি যে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ, সেটা কখনও কখনও ভাষায় প্রকাশ করা জরুরি।
মিলেমিশে কাজ করুন
দাম্পত্যের পথ মসৃণ হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল দায়িত্ব নেওয়া এবং তা কতটা নিজেদের মধ্যে ভাগ করা যাচ্ছে, সেটা বুঝে নেওয়া। বাড়ির কাজ মানেই স্ত্রীর দায়িত্ব, এই চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে আসুন। বাড়ির কাজও একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে করুন। দেখবেন সম্পর্কের জটিলতা অনেকটাই কেটেছে। শুধু বাড়ির কাজ নয়, একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য একসঙ্গে জিমে যাওয়া শুরু করতে পারেন, সুইমিং করতে পারেন। মিলেমিশে কাজ করলে সুখের হবে দাম্পত্য জীবন।