পোষ্য সারমেয়টি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হল না তো? ছবি: সংগৃহীত।
ক’দিন ধরেই বাড়ির পোষ্যটি কোনও খাবারই মুখে তুলছে না। সারা দিন বাড়ি মাথায় করে রাখে যে চারপেয়ে, সে কিছুতেই মাথা তুলছে না। তীব্র গরমে মানুষ থেকে চারপেয়ে— সকলেই কাহিল হয়ে পড়ছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরের মধ্যে থেকেও কিছুতেই শারীরিক অস্বস্তি কাটিয়ে উঠতে পারছে না। মানুষ না হয় ফলের রস, ‘ওআরএস’ খেয়ে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের সমতা বজায় রাখতে পারে। কিন্তু এই গরমের দাপট সহ্য করতে না পেরে যদি সারমেয়দের হিট স্ট্রোক হয়, সে ক্ষেত্রে কী করণীয়?
সারমেয়দের ‘হিট স্ট্রোক’ হয় কেন?
চার পাশের উত্তাপ এবং আপেক্ষিক আর্দ্রতা প্রচণ্ড পরিমাণে বেড়ে গেলে পোষ্যের শরীর তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না। শরীর কাহিল হয়ে পড়ে। সেই কারণেও হিট স্ট্রোক হতে পারে।
পোষ্যের নাক, গলা কিংবা শ্বাসনালিতে সংক্রমণের কারণেও কখনও কখনও হিট স্ট্রোক হয়। আগে থেকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
খাবারের সঙ্গে বিষাক্ত কিছু খেয়ে ফেললেও অনেক সময় শরীরের উত্তাপ বেড়ে গিয়ে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে।
‘হিট স্ট্রোক’-এর লক্ষণ:
১) হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে কুকুরের শ্বাসের গতি অনেক বেড়ে যায়।
২) পোষ্যের জিভ শুকিয়ে যায়, নাকও শুকিয়ে যায়। মুখের লালা শুকিয়ে আঠার মতো হয়ে যেতে পারে।
৩) শরীরের তাপমাত্রা ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠে যেতে পারে।
৪) পর্যাপ্ত জল খেলেও মূত্রের পরিমাণ অত্যন্ত কমে যেতে পারে।
৫) পোষ্যের হৃদ্যন্ত্রের গতি অত্যন্ত বেড়ে গেলেও সতর্ক হতে হবে।
৬) পোষ্য অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। দেহের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে স্বাভাবিক ভাবেই অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
৭) বাড়ির সাধারণ খাবার খেয়েও যদি ঘন ঘন বমি কিংবা ডায়েরিয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়, তা হলেও সতর্ক থাকতে হবে। এটিও হিট স্ট্রোকের কারণে হতে পারে।
হিট স্ট্রোক হয়েছে বুঝতে পারলে কী করবেন:
পোষ্যেরা কিন্তু মানুষের মতো তাদের শারীরিক সুবিধা-অসুবিধার কথা বোঝাতে পারে না। তাই এ বিষয়ে আলাদা করে সচেতন থাকা প্রয়োজন। হিট স্ট্রোক হয়েছে বুঝতে পারলে প্রথমেই পশু চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তারই মধ্যে চেষ্টা করতে হবে, পোষ্যকে বেশি পরিমাণে জল খাওয়াতে। হালকা গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে নিয়ে তা দিয়ে ওকে মুড়ে দিতে হবে।