সঙ্গীর সম্পর্কে বাইরের কারও কাছ থেকে কোনও কথা শুনলে উল্টো দিকে থাকা মানুষের মনে ভুল ধারণা তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। ছবি- প্রতীকী
মহীনের ঘোড়াগুলির সেই বিখ্যাত গানের দুটো লাইন মনে আছে? ‘হাত বাড়ালেই বন্ধু পাওয়া যায় না, বাড়ালেই হাত বন্ধু সবাই হয় না’? এক দশকের উপর চেনা, কিন্তু এক ছাদের তলায় থাকতে গিয়ে হঠাৎ ছন্দপতন। বিয়ের আগে কাজ সামলে সপ্তাহান্তে ২-৩ ঘণ্টার জন্য দেখা হলে মনে হতো, আপনার সঙ্গীটির মতো মানুষ হয় না। বাড়ি ফিরে মধ্যরাত পর্যন্ত সারাদিন কী হল, না হল বৃত্তান্ত বলাটা এক রকম নিয়মের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। কয়েক দিন যাবৎ সেই মানুষটির এমন অদ্ভুত আচরণে তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে মনে নানা প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয়। তবে সঙ্গীর ব্যক্তিগত কোনও সমস্যা থাকতেই পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে কথা বলে বা সময় দিয়েও যদি লাভ না হয়, সে ক্ষেত্রে মনোবিদের সাহায্য নিতে হবে।
কিন্তু বুঝবেন কী করে যে সাহায্য দরকার?
১) ছো়ট ছোট জিনিস লুকিয়ে যাওয়ার অভ্যাস আছে কি? অফিস যাওয়া থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত প্রতিদিনের পুঙ্খানুপুঙ্খ কথা কারও পক্ষেই মনে করে বলা সম্ভব নয়। তবুও এমন কিছু কথা থাকে, যেগুলি সঙ্গীর সম্পর্কে বাইরের কারও কাছ থেকে শুনলে উল্টো দিকে থাকা মানুষের মনে ভুল ধারণা তৈরি হওয়া স্বাভাবিক।
২) আপনি হয়তো কথা বলে, খোলাখুলি আলোচনা করে সমাধানের পথ খুঁজছেন। কিন্তু আপনার সঙ্গীটি কোনও ভাবেই সহযোগিতা করছেন না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, সঙ্গীর কাছে নিজেদের ত্রুটিগুলি ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়েই তাঁরা কোনও রকম আলোচনা এড়িয়ে যান।
৩) বার বার কথা বদলে ফেলার প্রবণতা আছে? আপনার মুখ বন্ধ রাখতে, আপনার সঙ্গী যুক্তি দিয়ে কোনও একটি কথা বলে তো ফেললেন। কিন্তু সেই যুক্তি ধরে রাখতে পারলেন না। নিজের দোষ চাপা দিতে ক্রমাগত অকাট্য অজুহাত দিয়ে গেলে, সঙ্গীকে সন্দেহের বাইরে রাখা যায় না।
৪) যখন আপনার প্রয়োজন তখন, আপনার সঙ্গীটি আপনার পাশে নেই। ধরুন রাস্তার মাঝে আপনি কোনও বিপদে পড়েছেন, তখন আপনার সঙ্গীটি যদি আপনাকে সাহায্য না করে নিজের পিঠ বাঁচাতে ব্যস্ত থাকে তা হলে সেই মানুষটির উপর কখনওই ভরসা করা যায় না ।
৫) আপনার সঙ্গীটি কি আপনার কাছে অন্যের জীবনের গল্প বলা পছন্দ করেন? এই ধরনের অভ্যাস প্রত্যক্ষ ভাবে কারও ক্ষতি না করলেও সঙ্গীর মনে ওই ব্যক্তিটির সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি করতে পারে।
৬) নিয়ন্ত্রণ করার প্রবণতা আছে? সঙ্গী আপনার আপত্তি শুনতে নারাজ? তাই তাঁর সব আবদারে রাজি হতেই হবে? না হলে জুটবে অপমান। আপনাকে বুঝতে হবে কোনটি আবদার এবং কোনটি জোর।