সম্পর্কে ভারসাম্য রাখতে হয়। কী বলবেন আর কতটা বলবেন, সেটা মাথায় রাখা প্রয়োজন। প্রতীকী ছবি।
বিশ্বাস, ভরসা, পারস্পরিক সম্মান, ভালবাসা— সম্পর্ক গড়ে তোলার এক একটি স্তম্ভ এগুলি। এই তালিকায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল স্বচ্ছতা। সঙ্গীকে মন খুলে সব বলতে পারছেন মানেই ধরে নেওয়া যেতে পারে সম্পর্কের ভিত শক্ত হচ্ছে ধীরে ধীরে। সম্পর্ক যদি খোলা পাতার মতো হয়, তার চেয়ে ভাল আর কিছু হয় না। সঙ্গীকে উজাড় করে দেওয়ার যেমন একটি ইতিবাচক দিক আছে, তেমনই সুস্থ সম্পর্কের জন্য কিছু কিছু কথা গোপন রাখাও জরুরি। সম্পর্কে ভারসাম্য রাখতে হয়। কী বলবেন আর কতটা বলবেন, সেটা মাথায় রাখা প্রয়োজন। তবে এমন কিছু কথা রয়েছে, যেগুলি সঙ্গীর কাছ থেকে অবলীলায় গোপন করে যেতে পারেন। তাতে বরং ভুল বোঝাবুঝির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
গোপন অভ্যাস
এমন অনেক কিছু থাকে, যা একান্ত প্রিয় মানুষটিকে বলতেও অস্বস্তি হয়। আপনার যদি মনে হয়, যে অভ্যাসটিতে আপনি স্বচ্ছন্দ হলেও প্রকাশ্যে বলতে অস্বস্তি হচ্ছে, তা হলে না বলাই ভাল। জীবনসঙ্গী মানেই সব বলতে হবে, তার কোনও মানে নেই। কিছু কথা নিজের মনে চেপে রাখা দোষের নয়।
সঙ্গীর বাড়ির লোককে নিয়ে ধারণা
পৃথিবীতে সকলেই পছন্দমতো হবে, তার কোনও মানে নেই। হতেই পারে আপনার স্বামী কিংবা স্ত্রীর বাড়ির কোনও সদস্যকে আপনার পছন্দ নয়। সেটা সঙ্গীকে বলতে না-ও পারেন। আপনি আলাদা মানুষ। আপনার নিজস্ব কিছু পছন্দ-অপছন্দ থাকবে। সেটাই স্বাভাবিক। তবে সেটা নিজের মনের মধ্যে চেপে রাখুন। সব কিছু বললে প্রভাব পড়তে পারে সম্পর্কে।
প্রাক্তনের ভাল দিকগুলি
নতুন সম্পর্কে পা দিয়ে পিছনে ফিরে তাকানো বোকামি। অনেকেই মাঝেমাঝে সঙ্গীর সঙ্গে প্রাক্তনের কথা বলতে গিয়ে তাঁর ভাল দিকগুলি বলে ফেলেন। বাইরে থেকে বুঝতে না পারলেও হয়তো আপনার সঙ্গীর মনে এগুলিই খারাপ লাগার জন্ম দিচ্ছে। সম্পর্কের যত্ন নিতে এগুলি এড়িয়ে চলুন।
কোন খাতে অর্থ ব্যয় করছেন
সংসার গড়ে তুলতে দু’জনেরই সমান অবদান প্রয়োজন। তবে আপনার টাকা আপনি কোন কোন খাতে খরচ করছেন, তা সঙ্গীকে জানানো জরুরি নয়। জীবনের যে কথাগুলি গোপনীয়তার চাদরে মুড়ে রাখলে ভাল, তার মধ্যে অন্যতম হল এটি।