যুদ্ধ এবং প্রেমে কোনও কিছুই তো পরিকল্পনা মতো হয় না। ছবি- সংগৃহীত
যুদ্ধ এবং প্রেমে কোনও কিছুই তো পরিকল্পনা মতো হয় না। আপনার দেখানো পথ ধরে সে হাঁটবে না, এটাই দস্তুর। ঘটনাচক্রে দেখা গিয়েছে যে, বেশির ভাগ মানুষই নিজের বিপরীত স্বভাবের মানুষের প্রেমে পড়ে। সম্পর্কের নদী কখনও খরস্রোতা, আবার কখনও শান্ত। আপনার সঙ্গীটি হয়তো ভালবাসায় রাখঢাক করতে পছন্দ করেন না, কিন্তু আপনি খুবই ব্যক্তিগত জীবনযাপন করেন। দু’টি মানুষের মধ্যেও যে ব্যক্তিগত পরিসর থাকতে পারে, এ কথা মানতে চান না অনেকেই। কারও কাছে ভালবাসা মানে দক্ষিণের খোলা জানলা, আবার কারও কাছে উত্তরে বাতাস। মানিয়ে নেওয়া এবং মেনে নেওয়ার এই লম্বা পথ পেরিয়ে, কোন সম্পর্কের ভীত কতটা মজবুত হবে, আজীবন এই অশান্তি ভোগ করার পরও কার ভালবাসার পেয়ালা উপচে পড়বে, তা কিছুটা নির্ভর করে সম্পর্কের সমীকরণের উপর। আর অনেকটাই নির্ভর করে সম্পর্কের প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কেমন, তার উপর।
কোন কোন বিষয় নির্ধারণ করবে সম্পর্কে থাকা দু’টি মানুষের গতিপথ?
১) প্রশ্নের পাহাড়
দু’টি সম্পূর্ণ আলাদা মানুষ এক ছাদের তলায় থাকতে শুরু করলে নানা রকম সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। দু’জনের মনেই প্রশ্নের পাহাড়। প্রশ্ন করবেন কিন্তু সেই সময়ে একে অপরের প্রতি কতটা শ্রদ্ধাশীল থাকবেন, তা দেখলেই বোঝা যায় কোন সম্পর্কের সমীকরণ কেমন।
২) চাওয়া-পাওয়া
ভালবাসার সম্পর্কে চাওয়া-পাওয়া থাকবেই। কিন্তু আপনার সঙ্গী আপনার চাহিদা কতটা পূরণ করতে পারছেন, তার উপর ভালবাসা নির্ভর করতে পারে না। পরিণত সম্পর্কে ভালবেসে একে অপরের দায়িত্ব পালনই চাহিদার ঝুলি পূর্ণ করে দেয়।
৩) সম্পর্কের ব্যক্তিগত পরিসর
ব্যক্তি বিশেষে ভালবাসার সংজ্ঞা বদলে যায়। অনেকেই মনে করেন সম্পর্কে থাকা মানে কোনও ব্যক্তিগত জীবনে ইতি টেনে দেওয়া। তা যেমন সত্যি নয়, সম্পর্কে থেকে আত্মকেন্দ্রিক হওয়াও কাম্য নয়।
৪) হাল ছেড়ে দেওয়ার মনোভাব
দু’জনের মধ্যে একটু ঝগড়া হল কি না হল, সম্পর্ক নিয়ে নেতিবাচক ভাবনা মনে ঘুরপাক খেতে শুরু করলে বুঝতে হবে মানসিক ভাবে আপনি এখনও অপরিণত।
৫) নির্ভরশীলতা
সম্পর্ক হোক বা জীবনে, দু’টি মানুষ একে অপরের প্রতি নির্ভরশীল হবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে প্রতিটি কাজে আপনাকে যদি উল্টো দিকের মানুষটার উপর নির্ভর করতে হয়, তা হলে এই সম্পর্ক আপনার কাছে বোঝা হয়ে উঠবে।