বিবাহ-বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্কের জন্য এক বছরের কারাবাস হতে পারে এশিয়ার একটি দেশে। ছবি: প্রতীকী
স্বামী কিংবা স্ত্রী ছাড়া আর কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক বৈধ নয়। বিয়ের বাইরে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হলে যেতে হতে পারে জেলে। এমনই আইন আসছে ইন্দোনেশিয়াতে। বিবাহ-বহির্ভূত সঙ্গম প্রমাণিত হলে এক বছরের কারাবাস হতে পারে, বিধান রয়েছে প্রস্তাবিত বিলে। চলতি মাসেই ইন্দোনেশিয়ার আইনসভায় পাশ হয়ে যেতে পারে বিলটি।
ইন্দোনেশিয়ার উপ আইনমন্ত্রী এডওয়ার্ড ওমর শরিফ হিয়ারিজ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কয়েক দশক ধরেই নতুন কিছু ফৌজদারি আইন আনার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। এই বিল তারই অংশ। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৫ ডিসেম্বর আইনটি পাশ হবে বলে আশা করছে সরকার। মন্ত্রী বলেন, “আমরা ইন্দোনেশিয়ার মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এমন একটি ফৌজদারি আইন পেয়ে গর্বিত।” কিন্তু কোনও ব্যক্তি বিবাহের বাইরে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছেন কি না, তা সরকার জানবে কী করে? আইনের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের নিকট আত্মীয়রা প্রশাসনে অভিযোগ জানতে পারবেন। শুধু সঙ্গমই নয়, এই আইনে অবিবাহিত নারী-পুরুষদের একত্রবাসও নিষিদ্ধ হবে।
শুধু শারীরিক মিলন নিয়েই নয়, এর সঙ্গে সঙ্গে আসতে চলেছে আরও একগুচ্ছ আইন। প্রেসিডেন্টকে ‘অপমান’ করা, কোনও সরকারি নীতির বিরোধিতা করা থেকে সমকাম, গর্ভপাত, সবেতেই কারবাসের সাজা আসছে আইনে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক থেকে ইন্দোনেশিয়া পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। মানবাধিকার কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, ক্রমেই বিভিন্ন কট্টরপন্থী মুসলিম সংগঠন শক্তিশালী হয়ে উঠছে। দুর্বল করে দিচ্ছে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো। আঘাত নামছে সংখ্যালঘুদের উপরেও। সাম্প্রতিক এই আইনগুলি মানবাধিকারের উপর একটি বড় আঘাত বলে মনে করছেন তাঁরা। যদিও এই সমালোচনায় কান দিতে নারাজ উপ আইনমন্ত্রী এডওয়ার্ড ওমর শরিফ হিয়ারিজ। এই আইনগুলিতে সাধারণ মানুষের দেশাত্মবোধ আরও মজবুত হবে বলে দাবি তাঁর।