Relationship tips

হোয়াট্‌সঅ্যাপ বার্তার জবাব আসছে না! মনের মধ্যে আনচান, বেশি ভেবে ফেলছেন না তো?

হোয়াট্‌সঅ্যাপে বিশেষ মানুষটির কাছ থেকে উত্তর না এলেই কি অস্বস্তি শুরু হয় মনে? কী করবেন তখন?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২৪ ১৪:৩০
হোয়াট্‌সঅ্যাপ  উত্তর পেতে দেরি হলেই মনের মধ্যে আনচান! কী ভাবে শান্ত রাখবেন মন?

হোয়াট্‌সঅ্যাপ উত্তর পেতে দেরি হলেই মনের মধ্যে আনচান! কী ভাবে শান্ত রাখবেন মন? —প্রতীকী ছবি।

হোয়াট্‌সঅ্যাপে বার্তার উত্তর না এলে কি অস্বস্তি শুরু হয়? ভাললাগার মানুষটি বার্তা দেখেও উত্তর না দিলে, মনে উথাল-পাতাল চলতে থাকে? উত্তর না পেয়ে আরও পাঁচটা বার্তা পাঠিয়ে দেন অনেকে। কেউ আবার ভাবতে শুরু করেন অন্য মানুষটি অবহেলা করছেন।

Advertisement

ভালবাসার মানুষটি বার্তার উত্তর দিতে দেরি করলে, তা নিয়ে একপ্রস্ত উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হতেই পারে। কিন্তু যে মানুষটিকে মনে মনে ভাল লাগে, তিনি যদি সঠিক সময়ে জবাব না দেন? দিনের পর দিন কোনও জবাব না আসে, কী করবেন?

সময় দিন

যথা সময়ে বার্তার উত্তর না পেলে, প্রথমে অস্বস্তি শুরু হয় অনেকেরই। বার বার মোবাইল দেখতে থাকেন। অনেক সময় দু’-তিন দিনেও কোনও জবাব আসে না। তখন মাথায় নানা চিন্তা ঘোরে। তা হলে কি সেই মানুষটি পাত্তা দিচ্ছেন না? আপনার কোনও গুরুত্বই নেই তাঁর কাছে? আরও হাবিজাবি চিন্তাজাল বুনতে শুরু করে মন। কিন্তু এক বার ভেবে দেখা দরকার, হোয়াট্‌সঅ্যাপ বার্তার জবাব না দেওয়ার পিছনে সত্যি যুক্তিযুক্ত কারণ রয়েছে কি না। হতেই পারে তিনি এমন পরিস্থিতির মধ্যে ছিলেন উত্তর দেওয়া সম্ভব হয়নি। দুম করে সিদ্ধান্তে আসার আগে, দেখা দরকার কী হয়েছিল।

শান্ত থাকা প্রয়োজন

বার্তার উত্তর না পেলে অনেকেরই মন উচাচন শুরু হয়। যত সময় যায়, ক্ষেত্রবিশেষে উদ্বেগ বাড়তে থাকে। এমন সময় বার বার মোবাইলে চোখ না রেখে, নিজেকে সংযত রাখার চেষ্টা করতে পারেন। এ নিয়ে যত ভাববেন, ততই মন অশান্ত হয়ে উঠবে। শরীরে তার প্রভাব পড়বে।

অন্য কাজে মন দিন

বার্তার উত্তর না পেলে যাঁদের মন ছটফট করে সাধারণত তাঁদের সেই সময় অন্য কাজে মন বসে না। তবে মনকে তা থেকে সরাতেই হবে। সেই সময় কোনও কাজ করতে ভাল না লাগলে, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারতে পারেন, পছন্দের কোনও কাজ করতে পারেন, গান শুনতে পারেন।

বার বার বার্তা পাঠানো ঠিক নয়

বার্তার উত্তর না পেয়ে অনেকেই বার বার বার্তা পাঠাতে শুরু করেন। হয়তো অন্য পক্ষ তা দেখছেনই না। এতে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাওয়া ছাড়া কোনও লাভ হয় না। বরং অন্য মানুষটিকে সময় দিন জবাব দেওয়ার জন্য। না হলে এত প্রশ্ন, লেখা দেখে তিনি বিরক্ত হতে পারেন।

প্রত্যেকেই আলাদা

প্রত্যেকটি মানুষের ভাবনা আলাদা। অনেকে দ্রুত উত্তর দিতে পারেন না। কেউ আবার সর্ব ক্ষণ মোবাইলের বার্তা নিয়ে বসে থাকেন না। কেউ মনে করেন জরুরি কাজ সেরে পরে কথা বলবেন। সেটা বুঝতে হবে। সাধারণত যদি কেউ দ্রুত উত্তর দেন, সেই তিনি দেরিতে জবাব দিলে বুঝতে হবে, কোনও কারণ নিশ্চয়ই ছিল।

আরও পড়ুন
Advertisement