শাশুড়ি মানেই বন্ধুত্ব থাকবে না। এমনই ধারণা যুগ যুগ ধরে প্রচলিত। কিন্তু শাশুড়ি মানেই কি চোখা কথা, বাঁকা মন্তব্য? তেমন মোটেই নয়। বরং বিয়ের আগে থেকেই বহু ক্ষেত্রে এমন ধারণা তৈরি করে দেওয়া হয়, যাতে শাশুড়ি আর বউমার মধ্যে কখনও বন্ধুত্ব হওয়ার সুযোগই ঘটে না।তাই সময়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে। ভুল বোঝাবুঝির পরিস্থিতি তৈরি হয়। এমনই অবস্থা এক এক সময়ে হয়ে যায় যে, আর কাছে আসার সুযোগ মেলে না।
কিন্তু প্রথম থেকেই সচেতন ভাবে শাশুড়ি-বউমা একে অপরের কাছে আসতে পারেন। দিব্যি বন্ধুত্ব করে নিতে পারেন।
কী ভাবে বন্ধু হয়ে উঠতে পারেন শাশুড়ি আর বউমা?
১) মাঝেমধ্যে একসঙ্গে রান্না করে দেখুন। তাতে একে-অপরের কাছে আসা যাবে। কোন ফোড়ন দেবেন, কী ভাবে সব্জি কাটবেন, তা নিয়ে আলোচনা করুন।
২) একসঙ্গে বেড়াতে যেতে পারেন মাঝেমাঝে। ছোটখাটো কেনাকাটাও করতে যাওয়া যায়। তার পরে চা-কফি নিয়ে কিছু ক্ষণ বসে গল্প করুন।
৩) স্বামীর ছোটবেলার গল্প শুনতে চান। আপনার স্বামী কী খেতে ভালবাসেন, কত বার মায়ের কাছে বকুনি খেয়েছেন— এই সব জানতে চান। একবারে অনেকটা দূরত্ব ঘুচে যাবে।
৪) ছোটছোট বিষয়ও মাঝেমধ্যে শাশুড়ির পরামর্শ নিন। শাশুড়িকে যে গুরুত্ব দিচ্ছেন, এর মাধ্যমে তিনি বুঝতে পারবেন। মনও ভাল হবে। আপনার ভাল-মন্দ নিয়ে ভাবনাও লেগে থাকবে তাঁর।
৫) শাশুড়ির সম্পর্কেও জানতে চাইবেন। তিনি কী পছন্দ করেন, কোন কাজ করতে ভাল লাগে, সে সব নিয়ে আলোচনা করুন।