অযথা কৌতূহল দেখাচ্ছেন আত্মীয়েরা, কটু কথা না বলে পরিস্থিতি সামলাবেন কী ভাবে? ছবি: ফ্রিপিক।
আপনার সব ব্যাপারেই কি মতামত দেওয়ার চেষ্টা করছেন আত্মীয়েরা? অকারণেই ব্যক্তিগত জীবনে নাক গলাচ্ছেন? এমন সমস্যা প্রায় প্রতি ঘরেই রয়েছে। যত্রতত্র মুখোমুখি দেখা হলেই খুঁটিনাটি সব বিষয়ে জানার চেষ্টা করেন অনেক আত্মীয়-পরিজনই। এমনকি, নিজেদের মতামত ব্যক্ত করে সকলের সামনে বিড়ম্বনাতেও ফেলে দেন। প্রবীণ আত্মীয় হলে সেখানে নীরব থেকে হজম করে যাওয়া ছাড়া গতি থাকে না। আত্মীয়দের মুখের উপর কটু কথা বলতেও পারবেন না, আবার অত্যধিক কৌতূহলী আত্মীয়দের থেকে দূরে সরে থাকাও মুশকিল। তা হলে উপায়? ভদ্রতা ও সম্মান বজায় রেখেই কী ভাবে পরিস্থিতি সামলাবেন, জেনে নিন।
নিজের চারপাশে সীমারেখা টানুন
সূক্ষ্ম সীমারেখা টেনে রাখুন নিজের চারপাশে। ব্যক্তিগত সব কথা ও আপনার জীবনে ঘটে চলা ছোটবড় ঘটনা উজাড় করে সকলকে বলতে শুরু করলে পরবর্তী সময়ে আপনিই বিপদে পড়বেন। নিজের দুর্বলতা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের কাছেও ব্যক্ত করবেন না। বরং যতটুকু বলার দরকার, ততটুকুই বলুন। হাবেভাবে বুঝিয়ে দিন, ব্যক্তিগত পরিসরে অযথা নাক গলানো একেবারেই পছন্দ করেন না আপনি।
উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় নয়
কোনও বিষয়ে নিয়ে তর্কাতর্কির সম্ভাবনা দেখা দিলে সেখানে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে না যাওয়াই ভাল। আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগ করবেন না। কথায় কথায় তর্ক বাড়ে, সম্পর্কও খারাপের দিকে যায়। নিজের রাগ ও আবেগ নিয়ন্ত্রণে রেখে সেই জায়গা থেকে সরে যাওয়াই ভাল।
প্রসঙ্গ বদলে ফেলুন
যখনই দেখবেন, আপনার ব্যাপারে অতিরিক্ত কৌতূহল দেখাচ্ছেন কোনও আত্মীয়, কোনও বিষয়ে জানার চেষ্টা করছেন, তখন সেই প্রসঙ্গ বদলে ফেলুন। বয়স্ক আত্মীয়দের ক্ষেত্রে এই টোটকা কাজে আসতে পারে। বরং তাঁদের শরীরগতিক নিয়ে প্রশ্ন করুন। তাঁদের কোনও বিষয়ে সমস্যা থাকলে তা নিয়ে আলোচনা শুরু করুন। সমাধানের উপায় জানা থাকলে, তা-ও বুঝিয়ে দিন। এতে তাঁদের অসম্মান করাও হবে না, আবার আপনিও বিড়ম্বনাতেও পড়বেন না।
স্পষ্ট কথা বলুন
আপনি যে আপনার জীবনের যে কোনও সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারেন, তা স্পষ্ট করে বুঝিয়ে বলুন। তাঁর বলা কথা বা মন্তব্য নিয়ে অকারণে মাথাগরম করবেন না। বরং তাঁর মতামতকে মর্যাদা দিয়েই জানান যে, আপনি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা পছন্দ করছেন না। নেতিবাচক আলোচনায় না গিয়ে উপেক্ষা করাই সবচেয়ে ভাল উপায় হতে পারে।