Covid 19

Relationship during Pandemic: অতিমারিতে বাড়ি থেকে কাজের চাপে ঘন ঘন ঝগড়া লেগেই আছে? কী উপায়ে সুখী হবে দাম্পত্য

এক দিকে ভাইরাসের আতঙ্ক, অন্য দিকে কর্মক্ষেত্রের নানা দোলাচল, সব মিলিয়ে মানসিক ভাবে চাপ বাড়ছে ব্যক্তিমানুষের উপর। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে দাম্পত্য জীবনে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:১১
টানাপড়েনের মাঝে কী ভাবে বজায় থাকবে ব্যক্তিগত সমীকরণের উষ্ণতা?

টানাপড়েনের মাঝে কী ভাবে বজায় থাকবে ব্যক্তিগত সমীকরণের উষ্ণতা? ছবি: সংগৃহীত

গোটা দেশেই ক্রমশ ঘোরাল হয়ে উঠছে কোভিড পরিস্থিতি। এক দিকে ভাইরাসের আতঙ্ক, অন্য দিকে কর্মক্ষেত্রের নানা দোলাচল— সব মিলিয়ে মানসিক ভাবেও মারাত্মক চাপ বাড়ছে ব্যক্তিমানুষের উপর। আর এই চাপের সরাসরি প্রভাব পড়ছে দাম্পত্য জীবনে। ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ফলে অনেককেই কাজ করতে হচ্ছে বাড়ি থেকে। আবার অনেককেই কোভিড সংক্রমণ থেকে অন্যদের সুস্থ রাখতে যেতে হচ্ছে নিভৃতবাসে। এই টানাপড়েনের মাঝে কী ভাবে বজায় থাকবে ব্যক্তিগত সমীকরণের উষ্ণতা? রইল তারই কিছু কৌশল—

Advertisement
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

১। মেনে নিন যে সময়টা সত্যিই কঠিন। এমন দীর্ঘ সময় ধরে এত বড় লড়াই করার অভিজ্ঞতা অধিকাংশ মানুষেরই ছিল না। ফলে দাম্পত্য জীবনের যে যে আলঙ্কারিক দিকগুলি থাকে তা বন্ধ রাখা সহজ নয়। তবু যে কোনও কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হলে আগে সেই পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে হবে। এটাই দস্তুর। তাই স্বাভাবিক সময়ে যা যা হতো সে সব যে এখনও হবে, এমনটা নাও হতে পারে।

২। জায়গা দিন, জায়গা নিন। একসঙ্গে থাকলেও প্রত্যেক ব্যক্তিমানুষের কিছু নিজস্ব জায়গা প্রয়োজন। নিজেও সেই জায়গা নিন, সঙ্গীকেও সেই জায়গাটুকু দিন। দিনে কিছুটা সময় বার করুন যেটা একান্তই আপনার নিজস্ব। সেই সময়ে নিজের পছন্দের কোনও কাজ করুন। দেখবেন বাকি সময়টা সঙ্গীর সঙ্গে কাটানো অনেক সহজ হবে।

৩। যৌনতার চর্চা হোক মন খুলে। সুখী দাম্পত্যের অন্যতম চাবিকাঠি সুস্থ যৌন জীবন। যাঁরা কর্মক্ষেত্র নিয়ে সারা দিন ব্যস্ত থাকতেন তাঁরা এই বাড়ি থেকে কাজের সময়ে নতুন করে খুঁজে পেতে পারেন একে অন্যকে। তবে খেয়াল রাখবেন সঙ্গীর চাহিদা আর আপনার ইচ্ছের মধ্যে যেন অবশ্যই ভারসাম্য থাকে। নয়তো হিতে বিপরীত হতে পারে। যৌন মিলনে শরীরে এমন কিছু হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায় যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

৪। নতুন নতুন কাজ করুন এক সঙ্গে। ব্যস্ততার মধ্যে এই সময়টুকু হয়ে উঠতে পারে মরুদ্যান। আপাত তুচ্ছ অনেক কাজও সেই মরুদ্যানে অমূল্য রতন হয়ে দেখা দিতে পারে। ঘরোয়া খেলাধুলা, সন্তানের পড়াশোনাতে একসঙ্গে সহায়তা করা কিংবা একসঙ্গে দাঁত মাজা। আপাত হাস্যকর এই সব টুকরো কাজেও বৃদ্ধি পায় সম্পর্কের উষ্ণতা। টবের গাছে জল দেওয়া থেকে রাতের খাবার তৈরি, সবই করুন হাত মিলিয়ে।

৫। জীবনের গন্তব্যকে নতুন করে সাজান। এই অতিমারি আমাদের জীবনকে নতুন ভাবে দেখতে শিখিয়েছে। বুঝতে শিখিয়েছে জীবনের নতুন নতুন মানে। দু’জনে একসঙ্গে বসে ভেবে দেখুন বছর দুয়েক আগে জীবন নিয়ে যা ভাবতেন, এখনও তা ভাবেন কি না। মন খুলে কথা বলুন, কথা শুনুন। মুখোমুখি বসে, কথোপকথনের মাধ্যমে টানাপড়েনে একে অন্যের সহযাত্রী হওয়ার এমন সুযোগ যদি কাজে লাগাতে পারেন দেখবেন অতিমারিই শাপে বর হয়ে দেখা দিতে পারে।

Advertisement
আরও পড়ুন