সুস্থতার চাবিকাঠি নিয়মিত যোগাভ্যাস। ছবি: সংগৃহীত
যোগাসন এখন আর শুধু ফেলু মিত্তিরদের একার জন্য নয়, বরং যাঁরা লালমোহন গাঙ্গুলীর মতো জীবন কাটাতে চান তাঁদেরও সুস্থতার চাবিকাঠি। অনেকেই নতুন বছরে শুরু করতে চান নিয়মিত যোগাভ্যাস করার সু অভ্যাস। যাঁরা নতুন বছরে এই ধরনের সংকল্প নিয়েই নিয়েছেন তাঁদের জন্য রইল কয়েকটি আসনের হদিশ—
১। যোগাভ্যাস এক দিনে আয়ত্ত করার বিষয় নয়। কাজেই যাঁরা আগে যোগাসন করেননি তাঁরা আগে শুরু করতে পারেন কিছু প্রাণায়াম। পরিচিত প্রাণায়ামগুলির মধ্যে কপালভাতি অন্যতম। বিশেষত কোভিড পরিস্থিতিতে ফুসফুসকে চাঙ্গা রাখতে এটি খুবই কার্যকর একটি উপায়। শ্বসনতন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষা, দেহে অক্সিজেনের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখা, পেটের মেদ কমানোর মতো একাধিক উপকার মিলতে পারে কপালভাতির নিয়মিত অনুশীলনে।
২। যাঁরা নিয়মিত পেটের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা অবশ্যই এই বছরে শুরু করতে পারেন বজ্রাসন। আসনটি আয়ত্ত করা খুবই সহজ। হাঁটু মুড়ে পায়ের উপর বসে মেরুদণ্ড সোজা রেখে হাত রাখতে হবে হাঁটুতে।
৩। হজমের জন্য উপকারী আরেকটি আসন হল পবনমুক্তাসন। পবনমুক্তাসনে পিঠের উপর শুয়ে, হাঁটুকে বুকের কাছে টেনে আনতে হবে ভাঁজ করে।
৪। সূর্য নমস্কার, গোটা পৃথিবীর যোগাভ্যাসকারীদের কাছেই অন্যতম পছন্দের একটি আসন। সূর্যের ১২টি দশার অনুকরণে এই আসনেও ১২টি ভঙ্গি রয়েছে। দেহের অতিরিক্ত মেদ কমাতে এই আসনের জুড়ি মেলা ভার। বিশেষত কোভিডকালে লকডাউনের মধ্যে দেহের সার্বিক সুস্থতা বজায় রাখতে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন সূর্য নমস্কার।
৫। যাঁরা একটু কঠিন আসনে পিছপা হন না তাঁরা চেষ্টা করে দেখতে পারেন শীর্ষাসন। মাথা নীচে রেখে পা, হাত ও কুনুইয়ের সাহায্যে ভারসাম্য রেখে পা উলম্ব ভাবে উপরের দিকে রেখে এই আসন করতে হয়। সঠিক ভাবে করতে পারলে এই আসনে দেহের উপরের দিকের অঙ্গগুলিতে রক্তসঞ্চালন ভাল হয়। ফলে স্নায়ু, বিভিন্ন গ্রন্থি, চোখ, কান নাকের মতো ইন্দ্রিয় ভাল থাকে। জওহরলাল নেহেরু নিয়মিত অভ্যাস করতেন এই আসন। তবে এটি আয়ত্ত করা কিন্তু সহজ নয়। আর আগে থেকে বিভিন্ন ইন্দ্রিয়ের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা ইত্যাদি থাকলে এই আসন করা চলবে না।