প্রতীকী ছবি।
সইফ আলি খানের সঙ্গে সুখেই ঘর করছেন করিনা কপূর। দু’জনের বয়সের ফারাক যতই হোক!
সইফ-করিনার মতো দশ বছরের ফারাকে কি আরও কারও প্রেম হয় না? বয়স তো শুধুই নম্বর। এমনই বলে থাকেন অনেকে। প্রেমে বাধা সৃষ্টি করতে না দিলেই হল।
কিন্তু বাস্তবে এ কথা কি সত্যিই? এতই কি সহজ বয়সে অনেক বড় কারও সঙ্গে প্রেম করা। আগামী দিনে একসঙ্গে থাকার পরিকল্পনার উপরে কি প্রভাব পড়ে না বয়সের?
সময় বদলেছে। এখন আর এমন কেউ ভাবেন না যে, পুরুষ সঙ্গীর বয়সই বেশি হতে হবে। বয়সে ছোট পুরুষদের সঙ্গেও জমিয়ে প্রেম করেন মহিলারা। দিব্যি বছর দশের ছোট প্রেমিককে বিয়ে করেছেন প্রিঙ্কা চোপড়া। তবে এ কথাও ঠিক যে, প্রেমের ক্ষেত্রে বয়স একেবারে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায়নি।
দু’জনের মধ্যে বয়সের ফারাক বেশি হলে অনেক ধরনের সমস্যার কথাই কানে আসে। সবচেয়ে বেশি হয় আগামী দিনে পথ চলার পরিকল্পনা ঘিরে সমস্যা। প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে বছর দশেক কিংবা তারও বেশি ব্যবধান থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা দু’জনের আলাদা। সেখানেই শুরু হয় কিছু সমস্যা।
যদি বয়সে বেশি বড় কারও প্রেমে পড়েন, তবে কয়েকটি বিষয় সচেতন থাকা জরুরি। প্রেম জীবন মসৃণ রাখার জন্য রইল কিছু পরামর্শ।
১) যে কোনও সম্পর্কেই অন্যের কথা বোঝার চেষ্টা করা প্রয়োজন। কিন্তু এমন ক্ষেত্রে আরও বেশি। কোন কাজে যদি মত না দেন সঙ্গী, তবে তার কারণ বোঝার চেষ্টা করে দেখুন। বিভিন্ন বয়সে একই বিষয় সম্পর্কে ধারণা বদলায়। সঙ্গীর অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিন।
২) তাই বলে সব কথায় বয়সের প্রসঙ্গ তুলবেন না। জীবনে সব আদানপ্রদান বয়সের নিরিখে নির্ধারিত হয় না। কারও কথায় গুরুত্ব দেওয়া মানেই এমন নয় যে বয়সের দিকে মন দিচ্ছেন শুধু। কোনও ছবি বা রেস্তরাঁর ক্ষেত্রে পছন্দ আলাদা হতেই পারে। তা যে দু’জনের বয়সের ব্যবধানের কারণেই হবে, তা নয়।
৩) সঙ্গীর কোনও কাজ পছন্দ না হলে তা নিয়ে আলোচনা করুন। তিনি বয়সে বড় বলে আপনার পছন্দ-অপছন্দ কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। যে কোনও সম্পর্কে দু’জনের মতামতই অতি জরুরি।
এই কয়েকটি দিকে খেয়াল রাখলে বছর পনেরোর বড় সঙ্গীও হয়ে উঠতে পারেন একেবারেই বন্ধু মতো।