নুসরত জাহান।
সন্তানের জন্মের পর বাড়তি ওজন ঝরিয়ে আগের মতো চেহারায় ফিরতে চান সব মায়েরাই। কিন্তু অনেকেরই সে স্বপ্ন পূরণ হয় না। সদ্যোজাতকে সামলাতেই হিমসিম খান বেশির ভাগ নতুন মা। ঘুম কম হওয়ায় শরীরে ক্লান্তি জমে যায় অনেকের। পাশাপাশি স্তন্যপান করানোরও এক ধরনের ধকল থাকে। তাই এই সময়ে না খেয়ে বা কোনও ক্র্যাশ ডায়েট করে ওজন কমানোর প্রশ্নই ওঠে না। সম্প্রতি একই কথা জানিয়েছেন নুসরত জাহান। ছোট্ট ঈশানকে স্তন্যপান করাচ্ছেন তিনি। তাই খাওয়াদাওয়ায় কোনও রকম ত্রুটি রাখছেন না। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি না গেলে ঠিক মতো স্তন্য তৈরি হবে না। তাই নতুন মায়েদের ব্যালান্সড ডায়েট অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এ সবের মধ্যে ওজম কমানোর উপায় কী? কয়েকটি সহজ উপায় অবশ্যই রয়েছে। জেনে নিন সেগুলি।
১। ডায়েট ছাড়াই
সন্তানের জন্মের পর বেশ কিছুটা ওজন একবারেই শরীর থেকে কমে যাবে। কিন্তু তার পরও ৯ মাসের জমা কিছু বাড়তি ওজন শরীরে থেকেই যায়। কিন্তু সেটা কমানোর জন্য কোনও রকম ক্র্যাশ ডায়েট চলবে না। স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেও অনেকটা ওজন কমাতে সাহায্য করবে। খিদে পেলে সেই অনুযায়ী খাবার খান। জাঙ্ক ফুড বা ভাজাভুজি এড়িয়ে চলুন খিদের মুখে। তার বদলে ফল-স্যালাড খেলেই ওজন কমতে পারে।
২। স্তন্যপান
স্তন্যপান করালে ‘প্রেগন্যান্সি ওয়েট’ অনেক তাড়াতাড়ি কমানো যায়— এমন তথ্য উঠে এসেছে বহু গবেষণায়। এই বিষয়ে তর্ক চলতে থাকলেও একটি বিষয়ে নিশ্চিত যে, স্তন্যপান করালে দিনে প্রায় ৩০০ ক্যালরি খরচ হয়। তাই রোগা হতে একটু হলেও সাহায্য করে।
৩। সুপারফুড খান
স্তন্যপান করানোর সময়ে শরীরে সবচেয়ে বেশি পুষ্টিগুণের প্রয়োজন পড়ে। তাই এম খাবার বেছে নিন, যাতে কম ক্যালরি বা ফ্যাট থাকলেও জরুরি পুষ্টিগুণ রয়েছে বেশি। মাছ, চিকেন, দইয়ের মতো খাবার খান যাতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আর ফাইবার রয়েছে। এতে পেটও ভর্তি থাকবে বেশি ক্ষণ।
৪। জল খান
নতুন মায়েদের বেশি করে জল খাওয়া এবং অন্য শরবত বা ফলের রস জাতীয় পানীয় খেয়ে শরীর হাইড্রেটেড রাখা অত্যন্ত জরুরি। জল খেলে উটকো খিদেও কম পাবে এবং পাশাপাশি শরীরের বিপাক হারও বাড়াতে সাহায্য করবে।
৫। হাঁটা-চলা
সন্তানের দায়িত্ব সামলে বেশির ভাগ মায়েরই শরীরচর্চা করার সময় হয় না। তবে হাঁটাচলা বা হাল্কা যোগাসন করতে পারেন। প্রথমেই অনেক ক্ষণ হেঁটে শরীরকে ক্লান্ত করে দেবেন না। ছাদেই অল্প হাঁটাহাঁটি করতে পারেন দিনের কোনও একটি সময়ে।