প্রতীকী ছবি।
পিসিওডি আর পিসিওএস। একটির নাম পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ, অন্যটির পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম। বহু মহিলাই এই সমস্যায় ভোগেন। নাম কাছাকাছি হওয়ায় একটির সঙ্গে অন্যটিকে গুলিয়ে ফেলেন অনেকেই। কিন্তু এদুটো মোটেই এক জিনিস নয়।
পিসিওডি কী?
এই অসুখ থাকলে ডিম্বাশয় অপরিণত ডিম্বাণু নির্গত করে, অচিরেই যা সিস্টে পরিণত হয়। এর ফলে অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ওজন বৃদ্ধি,চুল উঠে যাওয়া, তলপেটে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। পিসিওডি থাকলে ডিম্বাশয় আকারে অনেকটা বেড়ে যায় এবং তা থেকে বেশিমাত্রায় পুরুষ হরমোন নিঃসরণ ঘটতে থাকে।
পিসিওএস কী?
এন্ডোক্রিন সিস্টেমের গোলমালে মূলত এই অসুখ হয়ে থাকে। এই অসুখের কারণে শরীরে পুরুষ হরমোনের আধিক্য ঘটে। ফলে ডিম্বস্ফোটন অনিয়মিত হয়ে যায় এবং ডিম্বাশয়ে অনেক সিস্ট তৈরি হয়।
পিসিওডি ও পিসিওএস-এর পার্থক্য
১) পিসিওডি সেই অর্থে কোনও রোগ নয়। পিসিওএস তুলনায় অনেক বেশি জটিল রোগ।
২) ঠিক মতো খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার মাধ্যমেই পিসিওডি সারানো সম্ভব। কিন্তু পিসিওএস যেহেতু এক ধরনের বিপাকীয় অসুখ, তাই এটা সারাতে চিকিৎসকের সাহায্য প্রয়োজন।
৩) পিসিওডির কারণ শরীরে হরমোনের তারতম্য হয়। অন্যদিকে পিসিওএসের কারণ এন্ডোক্রিন সিস্টেমের গোলমাল দেখা দিতে পারে। এন্ডোক্রিন সিস্টেমের গোলমালের কারণেই শরীরে হরমোনের হ্রাস বা আধিক্য দেখা দেয়। হরমোনের এই তারতম্য একটা উপসর্গ, কোনও অসুখ নয়। পিসিওডিতে এই উপসর্গেরই প্রকাশ, অন্যদিকে পিসিওএস সম্পূর্ণতই একটি অসুখ।
৪) পিসিওডি থাকলে গর্ভধারণ ওসন্তান উৎপাদনের ক্ষেত্রে তেমন কোনও সমস্যা হয় না। কিন্তু পিসিওএস থাকলে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় গর্ভপাতের আশঙ্কাও থাকে। কারণ পিসিওএস ডিম্বস্ফোটনের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে।