প্রতীকী ছবি।
এখন বেশির ভাগ বাড়িতেই একজন কি দু’জন সন্তান। বাবা-মা দু’জনেই কাজে ব্যস্ত। সে কাজ বাড়ি থেকে হোক বা অফিসে গিয়ে।
সঙ্গে থাকে সংসারের হাজার চিন্তা। তার মধ্যে কতটুকু সময় পায় শিশুটি?
এ নিয়ে চিন্তা বহু বাবা-মায়ের। অপরাধবোধও কাজ করে। বিশেষ করে কর্মরতা মায়েদের বলতে শোনা যায় সে কথা। পরিবারের অনেকেও মনে করেন সন্তানকে মা বঞ্চিত করছেন।
কিন্তু বাবা-মা কাজ বন্ধ করে বসে থাকতে পারেবন না। বরং অন্য পথ বেছে নিতে পারেন অভিভাবকেরা। সন্তানকেও শেখাতে পারেন নিজের মতো করে সময় কাটানোর পদ্ধতি। তাতে সন্তান ব্যস্ত থাকবে। মনেও থাকবে আনন্দ।
শিশুটি আনন্দে থাকলে অপরাধবোধও কম আসবে বাবা-মায়ের মনে।
কিন্তু কী ভাবে নিজেই সুন্দর সময় কাটাতে পারে শিশু?
১) বই পড়ার অভ্যাস করানো যায়। বইয়ের মতো সঙ্গী হয় না। তাতে শিক্ষা হয়, আবার মনও ভাল থাকে। আগে মায়েরা বেশি বাইরে কাজ করতে না গেলেও সংসার সামলাতে ব্যস্ত থাকতেন। তখনও এভাবে নিজে বই পড়ে শিখতে হতো বহু শিশুকে।
২) কোনও বাজনা শেখানো যায়। বেহালা কিংবা গিটার। প্রথম কয়েকটা দিন ক্লাসের সময়ে তাকে সঙ্গ দিতে হবে। তার পরে এমন বাজনা হয়ে উঠবে তার একাকিত্বের সঙ্গী। সুরের প্রভাবে ভাল থাকবে মনও।
৩) নিজের কাজ করতে শেখান। শিশুকে সময় দিতে পারছেন না বলে, তার সব কাজ বাবা-মা করে দিতে চান। এমন ঘটে বহু ঘরে। কিন্তু তা না করে সন্তানকে স্বাবলম্বী করে তোলা যায়। তার বই, জামা, খেলনা ঘুছিয়ে রাখার দায়িত্ব পাক ছোট থেকে। কাজ শেখা হবে। সময়ও ভাল কাটবে।