বাঘ পোষা কি সহজ কথা? ছবি: সংগৃহীত।
বাঘমামার একটি ঝলক পাওয়ার জন্য জঙ্গল সাফারিতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন অনেকেই। তবে সব সময় যে ভাগ্য সহায় থাকে, এমনটা নয়। কিন্তু যদি বাঘকে বাড়িতেই পোষা যেত, তা হলে কেমন হত? মশকরা নয়, এমন ঘটনা কিন্তু সত্যিই ঘটেছে। সম্প্রতি এক ইউটিউবারের একটি ভিডিয়ো চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে নেটপাড়ার। ইউটিউবারের পোস্ট করা ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, পোষ্য বাঘকে নিয়ে বাড়ির বাগানে হেঁটে বেড়াচ্ছে এক খুদে। নওমান হুসেন নামে এক পাকিস্তানি কনটেন্ট ক্রিয়েটর তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে সেই ভিডিয়োটি ভাগ করেছেন। এই ভিডিয়ো দেখেই চারদিকে চর্চা শুরু হয়েছে। কেউ অবাক হয়েছেন, কেউ আবার ছেলেটির কাণ্ডকারখানা দেখে রেগে গিয়েছেন।
ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে ঠিক যেমন পোষা কুকুরকে শিকলে বেঁধে ঘুরতে নিয়ে যান পোষ্যের মালিকরা, তেমনই বাঘকে শিকলে বেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছে খুদে। পরক্ষণেই ঘটল অঘটন। বাঘটি হঠাৎই ডেকে উঠল আর বাঘের হুঙ্কার শুনে ভয়ে আঁতকে উঠল সেই খুদে। তাঁকে বাঁচাতে সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে এলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। ভিডিয়োটি নওমানের বাড়িতেই তোলা। নওমান বাড়িতে নানা রকম জীবজন্তু পোষেন। কুমির, সাপ, বাঘের ছানা, বাঘ— সবই রয়েছে তাঁর বাড়িতে। যদিও ছোট ছেলেটি ঠিক কে, সে বিষয়ে ভিডিয়োতে কোনও উল্লেখ নেই। তবে অনেকেই বলেছেন, খুদেটি আদতে নওমানের ভাইপো।
কেবল বাঘই নয়, সিংহও রয়েছে নওমানের সংগ্রহে। নওমান একা নন, পাকিস্তানের বেশ কিছু নেটপ্রভাবী নিজেদের পোষ্য বাঘ ও সিংহকে নিয়ে ভিডিয়ো ভাগ করেন। সিনেমার জন্য তাদের ভাড়াও দেওয়া হয়। পাকিস্তানে এ ধরনের জীবজন্তু পোষা বেআইনি নয়। তবে এই কাজ আদৌ উচিত কি না, তা নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে অবশ্য মতভেদ রয়েছে।