টাকাটা পাওয়ার পর ওই নম্বরে ফোন করে কথা বলেন কমল। প্রতীকী ছবি।
কমল সিংহ নাম পুণের বাসিন্দা এক ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সম্প্রতি জিপে-র মাধ্যমে কিছু টাকা ঢোকে। কমল বুঝে উঠতে পারছিলেন না যে, কে তাঁকে টাকা পাঠিয়েছেন। কারণ একটি অচেনা জিপে নম্বর থেকে টাকাটা এসেছে। কিন্তু টাকার পরিমাণটা কমলের চেনা চেনা লাগে। তলিয়ে ভাবতেই মনে পড়ে যায় আসল ঘটনা।
বন্ধুত্বের ফাঁদ পেতে আর্থিক প্রতারণার মতো ঘটনা যেখানে আকছার ঘটছে, সেখানে এমন ঘটনা বিরল। বছর দেড়েক আগে ফেসবুকে একটি সাহায্যের আবেদন চোখে পড়ে কমলের। এক ব্যক্তি তাঁর মায়ের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্যের আবেদন করেছিলেন। কমল সেটি দেখা মাত্রই ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ করে ২০১ টাকা ওই ব্যক্তির দেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরে পাঠিয়েছিলেন। এই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে অনেকগুলো মাস। কমল গোটা বিষয়টি ভুলেও গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই একই পরিমাণ অর্থ তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢোকায় বিস্মিত হয়ে যান কমল। মনে পড়ে যায় দেড় বছর আগের ঘটনা।
সেই সময় কমলও বেকার ছিলেন। চাকরি খুঁজছিলেন। ইচ্ছা থাকলেও সামর্থ্য সঙ্গ দেয়নি। ২০০ টাকাও নিজের সঞ্চয় থেকে দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর ছিল না। বন্ধুদের থেকে অর্থ সংগ্রহ করে অপরিচিত ওই ব্যক্তির দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই ব্যক্তি যে তাঁর এই সাহায্য মনে রেখে সেটা ফিরিয়ে দেবেন, তা ভাবতে পারেননি কমল। টাকাটা পাওয়ার পর ওই নম্বরে ফোন করে কথা বলেন কমল। ওই ব্যক্তি জানান, তাঁর মা ভাল আছেন। সাহায্য করার জন্য কমলকে অনেক ধন্যবাদও জানান। এমন একটি ঘটনা নিজের মধ্যে চেপে না রেখে লিঙ্কডইনে আরও অনেকের সঙ্গে ভাগ করে নেন। অনেকেই নানা মন্তব্য করেছেন। সকলের একটাই মত, সবাই খারাপ নয়। মানবতা শব্দটা এখনও অর্থহীন হয়ে পড়েনি।