কলম ভরা টুকলি। ছবি: সংগৃহীত
মাধ্যমিক, উচ্চমধ্যমিকে পড়ুয়াদের টুকলি আটকাতে কোমর বেঁধে নামতে দেখা যায় বহু শিক্ষক-শিক্ষিকাকেই। জামার ভাঁজে লুকিয়ে আনা ‘মাইক্রো জেরক্স’ কিংবা পরীক্ষাকেন্দ্রের দেওয়াল জুড়ে লিখে রাখা ‘নোট’। পরীক্ষার বৈতরণী উতরোতে নানান উদ্ভাবনী ফন্দি-ফিকির করে পড়ুয়াদের একাংশ। দুঁদে মাস্টারমশাইরাও কম যান না। কোন পড়ুয়া অসদুপায় অবলম্বন করছে, ঠিক বুঝতে পেরে যান তাঁরা। তবে এ হেন ‘টুকলি শিল্প’ যে কেবল বাংলার বিষয় নয়, সাম্প্রতিক একটি ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে তা। নকল করার বিচিত্র এক কৌশলের কথা প্রকাশ্যে এসেছে স্পেনে। পরীক্ষায় পাস করতে, ফৌজদারি আইনের এক পড়ুয়া ‘টুকলি’ করে এনেছিলেন পেনের ভিতর! কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। ধরা পড়ে যান শিক্ষিকার হাতে। সেই পেনের ছবিই শিক্ষিকা প্রকাশ করেছেন টুইটারে।
মোট এগারোটি পেন উদ্ধার করেছিলেন ইয়োল্যান্ডা ডি লুচ্চি নামের শিক্ষিকা। দূর থেকে দেখলে এক পলকে কিছুই বোঝার উপায় নেই। কিন্তু কাছ থেকে দেখলে বোঝা যাবে কলমের গায়ে অত্যন্ত ক্ষুদ্র হরফে লেখা রয়েছে বিভিন্ন তথ্য। শিরোনামে শিক্ষিকা লিখেছেন, “অফিস পরিষ্কার করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ভাস্কর্যগুলি খুঁজে পেলাম। বছর খানেক আগে এক পড়ুয়ার থেকে পেয়েছিলাম পেনগুলি। কলমের মধ্যে লেখা রয়েছে কিছু ফৌজদারি আইন। কী দারুণ শিল্পকর্ম!’’
প্রকাশের পরই টুইটারে ঝড় তুলেছে সেই ছবি। ‘লাইক’ পড়েছে প্রায় ৩ লক্ষ আশি হাজার। চব্বিশ হাজার মানুষ ‘রিটুইট’ করেছেন ছবিটি। শুরু হয়েছে হরেক রকম রসিকতাও। সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের কেউ বলেছেন, পেনের মধ্যে আইনগুলি লিখতে যত পরিশ্রম করেছেন সংশ্লিষ্ট পড়ুয়া, তার তুলনায় আইনগুলি মুখস্থ করতে অনেক কম সময় লাগত। কেউ আবার বলেছেন, শিল্পকর্মের জন্য পড়ুয়াকে অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া উচিত ছিল।
Haciendo orden en mi despacho he encontrado esta reliquia universitaria que confiscamos a un alumno hace unos años: el derecho procesal penal en bolis bic. Que arte! #laschuletasnosoncomoantes pic.twitter.com/3J4LMn0RQF
— Yolanda De Lucchi (@procesaleando) October 5, 2022