চাকরিপ্রার্থী চাকরির আবেদনপত্রের সাথে জমা দিলেন ওই অফিসেই চাকরিরত মৃত ব্যক্তির ডেথ সার্টিফিকেট। ছবি: সংগৃহীত।
পড়াশোনা শেষ করে সকলেই জীবিকার সন্ধান করেন। যোগ্যতা অনুযায়ী কাজের সন্ধান করলেই যে এই আকালের বাজারে মনের মতো চাকরি মিলবে, তেমনটাও নয়। প্রতিযোগিতা তো আছেই, কিছু ক্ষেত্রে সংস্থার নানা রকম কারসাজিও থাকে। তবু চাকরিপ্রার্থীরা চাতক পাখির মতো কর্মখালির সন্ধান পেলেই ছুটে যান।
রোদ-ঝড়-জল মাথায় করে জুতোর সোল খসিয়ে একের পর এক সংস্থার দরজার কড়া নেড়ে ফিরে আসার পরও নতুন করে আশায় বুক বাঁধেন। এই পর্যন্ত গল্পটা কমবেশি সকলেরই এক। কিন্তু একটা চাকরির জন্য কত দূর যাওয়া সম্ভব? জানা গেল সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক চাকরিপ্রার্থীর আবেদনপত্র দেখে।
সাদা কাগজে হাতে লেখা সেই আবেদনপত্র দেখলেই বোঝা যায়, বেকারত্ব যুবসমাজে ঠিক কেমন প্রভাব ফেলছে। কোন একটি সংস্থায় ওই আবেদনকারী কোনও একটি নির্দিষ্ট পদের জন্য আবেদন করতে গেলেই তাঁকে পদ খালি নেই বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই এ বার আর কাজে কোনও ফাঁক রাখেননি তিনি। ওই সংস্থায় কর্মরত কোনও এক কর্মী মারা গিয়েছেন, সেই খবর পেয়ে সটান চলে গিয়েছেন তাঁর শেষকৃত্যে। শুধু কি তাই? প্রমাণ হিসাবে সঙ্গে করে ছবি তুলে নিয়ে এসেছেন ওই কর্মীর মৃত্যুর শংসাপত্র। নতুন করে আবেদন করার সময়ে নিজের সিভির সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন ওই পদে থাকা ব্যক্তির ‘ডেথ সার্টিফিকেট’। যাতে শূন্যপদ নেই বলে সংস্থার তরফে আর কোনও অজুহাত না শুনতে হয়।
মিলিন্দ নামে এক জন সমাজমাধ্যমে আবেদনপত্রটির ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, “এখন কী করা উচিত? এই আবেদনকারীকে কি আদৌ চাকরিতে নেওয়া উচিত?” ওই তরুণের কাণ্ড দেখে তাজ্জব নেটাগরিকরা। কেউ লিখেছেন, “চাকরিপ্রার্থী হিসাবে তিনি যা করেছেন, ঠিক করেছেন।” আবার অন্য এক জনের বক্তব্য, “চাকরির জন্য মানুষ এত নির্দয় হতে পারে!”
Received this job application, what to do now? Any further excuses you can suggest to reject, or should he be hired? If so, on what grounds? pic.twitter.com/p31GV5P5XS
— Milind (@ThombreMilind) April 30, 2023