science

Samudrayaan: মিশন সমুদ্রযান! প্রথম বার সমুদ্রের ৬ কিলোমিটার গভীরে অভিযান ভারতের

আগে আমেরিকা, রাশিয়া, জাপান, ফ্রান্স ও চিন এই ধরনের গভীর সমুদ্রাভিযান করেছে। সফল হলে ভারতও ঢুকে পড়বে সেই তালিকায়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২২ ১১:০৯
‘মৎস্য ৬০০০’ নামক যানে করে হবে এই অভিযান।

‘মৎস্য ৬০০০’ নামক যানে করে হবে এই অভিযান। ছবি: ফাইল চিত্র

চন্দ্রযান, মঙ্গলযানের পর এ বার সমুদ্রযান। মহাকাশের পর এ বার অতল সমুদ্র। প্রকৃতির রহস্য ভেদ করতে নতুন অভিযান হাতে নিল ভারত। লক্ষ্য হল, সমুদ্রের ৬০০০ মিটার গভীরে মানুষ পাঠানো। কিছুটা সাবমেরিনের মতো যে যানটিতে করে এই অভিযান হবে, তার নাম রাখা হয়েছে ‘মৎস্য ৬০০০’। এর আগে আমেরিকা, রাশিয়া, জাপান, ফ্রান্স ও চিন এই ধরনের গভীর সমুদ্রাভিযান করেছে। সফল হলে ভারতও ঢুকে পড়বে সেই তালিকায়।

Advertisement

বিজ্ঞানীদের প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিন জন মানুষ নিয়ে সমুদ্রের গভীরে যাবে মৎস্য ৬০০০। যানটিতে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সেন্সর ও যন্ত্রপাতি। থাকবে সমুদ্রতলে খননকার্য চালানোর ব্যবস্থাও। সমুদ্রের গভীরে জলের চাপ বেশি। সেই চাপ সামলানোও বড় চ্যালেঞ্জ প্রযুক্তিবিদদের কাছে। ১২ ঘণ্টা জলের তলায় থাকতে পারবে যানটি। তবে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ৯৬ ঘণ্টা পর্যন্ত জলের নীচে থাকতে পারবে এই যান।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কেন্দ্রের ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে ইসরো, আইআইটি মাদ্রাজ এবং ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীরা হাত মিলিয়ে তৈরি করেছেন মৎস্য় ৬০০০-এর নকশা। ২০২০-২১ থেকে ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে এই ধরনের গভীর সমুদ্রাভিযান চালানোর জন্য মোট ৪০৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। ২০২৪ সাল পর্যন্ত গবেষণার প্রথম ধাপের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৮২৩.৪ কোটি টাকা।

পৃথিবীর উপরিতলের প্রায় ৭০ শতাংশই সমুদ্র। অথচ গভীর সমুদ্রের ৯৫ শতাংশই এখনও মানুষের অজানা। বিশেষ করে ভারতে ৭৫১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র উপকূল রয়েছে। তাই এই ধরনের অভিযান শুধু প্রযুক্তিগত দিক থেকে নয়, অর্থনীতির দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement