রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে, ব্যাগ নষ্ট হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। ছবি- সংগৃহীত
বয়সকালের কোমরে ব্যথাই হোক বা কম বয়সের ঋতুস্রাব চলাকালীন ব্যথা, সব কিছুরই সঙ্গী ‘হট ব্যাগ’। আগেকার দিনে প্রায় সব বাড়িতেই বয়স্ক মানুষ থাকলে, লাল রঙের বিশেষ এই ব্যাগটির দেখা মিলত। তবে অনেক সময়েই অসাবধানতায় ব্যাগের মুখের কর্কটি খুলে গেলে বিপদ অবশ্যসম্ভাবী। এই ঝামেলা এড়ানোর জন্য অনেকেই এখন বিদ্যুৎ চালিত ‘হট ব্যাগ’ ব্যবহার করেন। কিন্তু সেখান থেকেও বিপদ এড়ানো যাবে, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।
কিন্তু ‘হট ওয়াটার ব্যাগ’ এমনিতে বিপদজ্জনক না হলেও দীর্ঘ দিন ধরে এক ভাবে ব্যবহার করা এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে, তা নষ্ট হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। তাই ব্যবহার করার আগে খুব ভাল করে দেখে নিয়ে তবে ব্যবহার করতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।
এই ব্যাগ ব্যবহার করার সুবিধা কী?
১) কোমরের ব্যথায় আরাম দেয়।
২) ঋতুস্রাব চলাকালীন যে ব্যথা হয়, তা উপশমের জন্যও ব্যবহার করা হয় এই ব্যাগ।
৩) মানসিক চাপ কাটাতেও কাজে লাগে।
৪) ঘাড়-পিঠে যন্ত্রণা থেকেও আরাম মেলে।
৫) শীতের রাতে উষ্ণতার জন্য।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন এই ব্যাগ?
১) এমন ভাবে ধরবেন যেন বোতলের মুখ উপর দিকে থাকে।
২) জল ভরার সময়ে খেয়াল রাখবেন যেন ব্যাগের ভিতরে হাওয়া না থাকে।
৩) ব্যাগের মাপের থেকে কিছু জায়গা ফাঁকা রেখে জল ভরবেন।
৪) খেয়াল রাখবেন যেন এই ব্যাগে খুব বেশি চাপ না পড়ে।
৫) দেহের যেখানে ব্যথা, সেখানে ব্যাগটি রাখুন।
৬) ব্যবহার করা হয়ে গেলে জল ফেলে রাখবেন।
৭) এই সময়ে ব্যাগের খোলা মুখ নীচের দিক করে ঝুলিয়ে রাখবেন।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
বিদ্যুৎ চালিত ‘হট প্যাড’ ক্ষতিকারক হলেও কাচের বোতল বা ‘হট ওয়াটার ব্যাগ’-এর মুখ খুলে না গেলে সেখান থেকে তেমন কোনও ক্ষতি হয় না বললেই চলে।