ফোন হ্যাক হয়েছে কি? ছবি: সংগৃহীত।
স্মার্টফোন ব্যবহার করেন কিন্তু ‘হ্যাকিং’ শব্দটি শোনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কাজের সুবিধার্থে স্মার্টফোন যেমন ভাল। তেমন আবার খারাপও। গতির সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে অত্যধিক যন্ত্রনির্ভর হয়ে পড়েছে মানুষ। আর সেই সুযোগেরই সদ্ব্যবহার করতে চাইছে জালিয়াতেরা। পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে বসে অচেনা কারও ফোনে আড়ি পাতা থেকে তথ্য চুরি— সবই সম্ভব হয় হ্যাকিং পদ্ধতিতে। নিজেদের অজান্তেই খ্যাতনামা থেকে সাধারণ মানুষ অনেকেই এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। কারণ, তাঁরা বুঝতেই পারেননি ফোন হ্যাক করার কৌশল। ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোন ব্যবহার না করা বোকামি। তবে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
১) দ্রুত ফোনের চার্জ চলে যাওয়া
স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত চার্জ চলে যাওয়াও ফোন হ্যাক হয়ে যাওয়ার লক্ষণ। অনেক সময়ে ফোন বন্ধ থাকলেও পিছনে কিছু কিছু সফ্টওয়্যার চালু থাকে বলে অনবরত চার্জ শেষ হতে থাকে। তবে ফোন সত্যিই হ্যাক হয়ে গিয়ে থাকলে সাধারণ মানুষের পক্ষে তা ধরা সহজ নয়। কাজেই সন্দেহ হলে সাইবার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমত্তার পরিচয়।
২) ফোন গরম হয়ে যাওয়া
চার্জে বসালে অনেক সময়েই ফোনের বাইরের অংশ গরম হয়ে যায়। কিন্তু চার্জে না বসিয়েই যদি হঠাৎ অস্বাভাবিক ভাবে ফোন গরম হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে, আপনার বাইরে অন্য কেউ চুপিসাড়ে সেই ফোনের দখল নিয়েছে।
৩) ফোনের গতি কমে যাওয়া
ফোনের র্যামের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়লে তার গতি কমে যাওয়া স্বাভাবিক। তাই মাঝে মধ্যেই অবাঞ্ছিত তথ্য মুছে দিয়ে ফোনের মেমরি এবং র্যাম ফাঁকা করে রাখেন অনেকে। তাতে ফোনের কাজ করার গতি বেড়ে যায়। কিন্তু ফোনে যদি কোনও ভাইরাস আক্রমণ করে থাকে সে ক্ষেত্রে ফোনের গতি শ্লথ হয়ে পড়ে।
৪) অচেনা নম্বর থেকে ফোন বা মেসেজ আসা
বার বার অজানা অচেনা নম্বর থেকে ফোন বা বার্তা আসা ফোন হ্যাক হয়ে যাওয়ার লক্ষণ। আবার আপনার অজান্তেই আপনার মোবাইল থেকে কারও কাছে ফোন বা বার্তা চলে গেলেও তা বিপদের সঙ্কেত হতে পারে। বিশেষত, অজান্তে ফোন বা মেসেজ চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটলে অবিলম্বে বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নিতে হবে।
৫) গ্যালারিতে অবাঞ্ছিত কিছু ঢুকে পড়া
ফোনের ক্যামেরায় যে সব ছবি তোলা হয়, তা সাধারণত গ্যালারিতে সেভ করা থাকে। কিন্তু যে তথ্য বা ছবি আপনি তোলেননি বা আপনাকে কেউ পাঠাননি, তেমন কিছু যদি হঠাৎ ফোনের গ্যালারিতে দেখতে পান, তৎক্ষণাৎ সতর্ক হতে হবে। সাধারণত ভাইরাস আক্রমণেই এমন অদ্ভুত ঘটনা ঘটে থাকে।
৬) ডেটাপ্যাক শেষ হয়ে যাওয়া
সারা দিনে খুব বেশি মোবাইল ব্যবহার না করেনও দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে প্রাত্যহিক ডেটা? হ্যাক হয়ে থাকতে পারে ফোন। ফোন হ্যাক হয়ে গিয়ে থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবহারকারীর অজান্তেই ফোনে চলতে থাকে একাধিক অ্যাপ ও সফ্টঅয়্যার। এই ধরনের অ্যাপ ও সফ্টঅয়্যারের মাধ্যমে চুরি যায় তথ্য।
৭) অবাঞ্ছিত পপ আপ্স
বিভিন্ন অসুরক্ষিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে বিভিন্ন ধরনের ম্যালঅয়্যার বা ক্ষতিকর সফ্টঅয়্যার ফোনে ঢুকে যায়। এই ধরনের ওয়েবসাইট যে তথ্য চুরি করে, তা কাজে লাগিয়ে ফোনে ক্রমাগত পপ আপ বিজ্ঞাপন আসতে পারে। এই ধরনের অযাচিত ও ক্ষেত্রবিশেষে অশ্লীল পপ আপ বিজ্ঞাপনে হাত পড়লেই সমস্যা।