Viral Fever

শীতের শুরুতে ভাইরাল জ্বর কমলেও শুকনো কাশি কমছে না? কী ভাবে মিলবে রেহাই, জানালেন চিকিৎসক

মরসুম বদলের সময় ভাইরাল সংক্রমণ হানা দিচ্ছে আট থেকে আশির শরীরে। এক-দু’দিনের বেশি জ্বর না টিকলেও গলায় খুসখুসে ভাব, শুকনো কাশি থেকে যাচ্ছে বেশ কিছুদিন। এই উপসর্গ কি আবার কোনও নতুন ভাইরাসের হানায় হচ্ছে? কী বলছেন চিকিৎসক?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৩ ২০:২১
ভাইরাল সংক্রমণে যখন দোসর কাশি।

ভাইরাল সংক্রমণে যখন দোসর কাশি। ছবি: সংগৃহীত।

দুর্গাপুজো কাটতে না কাটতেই হালকা শীতের আমেজ পড়তে শুরু করেছে রাজ্যে। সকালের দিকে গরম থাকলেও রাতের দিকে ঠান্ডা লাগছে বেশ। মরসুম বদলের এই সময় ভাইরাল সংক্রমণ হানা দিচ্ছে আট থেকে আশির শরীরে। জ্বর, সর্দিকাশিতে কাবু হচ্ছেন মানুষ। এক-দু’দিনের বেশি জ্বর না টিকলেও গলায় খুসখুসে ভাব, শুকনো কাশি থেকে যাচ্ছে বেশ কিছু দিন। এই উপসর্গ কি আবার কোনও নতুন ভাইরাসের হানায় হচ্ছে? কী বলছেন চিকিৎসক?

Advertisement

প্রতি বছরই মরসুম বদলের সময় কিছু সাধারণ রেসপিরেটরি ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত হয়। চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘শীতের শুরুতে রেসপিরেটরি ভাইরাসের আক্রমণেই জ্বর, সর্দি-কাশি, হাঁচির মতো উপসর্গ দেখা যায় আমাদের শরীরে। জ্বর কমে গেলেও অনেকের ক্ষেত্রে অন্য উপসর্গগুলি দীর্ঘস্থায়ী হয়। এই মরসুমে কোনও একটি নির্দিষ্ট ভাইরাসের হানায় এই উপসর্গগুলি দেখা যাচ্ছে এমনটা বলা যায় না, তবে অনেকের ক্ষেত্রেই কাশি দু’সপ্তাহ বা তাঁর বেশি সময় ধরে স্থায়ী হচ্ছে।’’

জ্বর হলে অনেকেই চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে ওষুধের দোকানে গিয়ে জ্বরের ওষুধ খেয়ে নেন। সঠিক চিকিৎসা না হওয়ার কারণে জ্বর কমলেও অন্য উপসর্গগুলি থেকে যায়। সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘জ্বর হলে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। জ্বর সেরে গেলে যদি কাশি না কমে, তা হলেও ফেলে না রেখে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। প্রয়োজনে রোগীকে ইনহেলার কিংবা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধও দেওয়া হতে পারে। কেবল ওষুধের উপর নির্ভর করলে হবে না, বাড়িতে ভাপ নিতে হবে। সময় বার করে নুন-জল দিয়ে গার্গল করতে হবে। তা হলেই কাশির হাত থেকে রেহাই মিলবে।’’

মরসুম বদলের সময় কী ভাবে ভাইরাল সংক্রমণ ঠেকিয়ে রাখবেন?

১) রাতের দিকে কান ঢেকে রাস্তায় বেরোন।

২) এই মরসুমে কখনও গরম লাগে, কখনও আবার ঠান্ডা লাগে। গরম লাগলেও এসির তাপমাত্রা খুব বেশি কমিয়ে দেবেন না।

৩) ফ্রিজ়ের ঠান্ডা খাবার কিংবা জল খাবেন না। ঠান্ডা নরম পানীয় এড়িয়ে চলুন।

৪) যাঁদের ঠান্ডার ধাত আছে, তাঁরা এই সময় ঠান্ডা জলের পরিবর্তে ঈষদুষ্ণ গরম জলে স্নান করুন।

৫) ভাইরাল সংক্রমণ হাঁচি-কাশির মাধ্যমেই ছড়ায়। তাই সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পেতে মাস্ক ব্যবহার করুন। বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে গরম জলে স্নান করুন। ব্যাগে স্যানিটাইজ়ার রাখুন।

আরও পড়ুন
Advertisement