ভালমন্দ খেয়েও খরচ কমবে হেঁশেলের। ছবি: সংগৃহীত।
বাজারে জিনিসপত্রের দাম এখন অগ্নিমূল্য। বছর দুয়েক আগেও মাসকাবারির জন্য যে টাকা বরাদ্দ ছিল, এখন সেই টাকায় অর্ধেক বাজারও হয় না। সংসারের বাকি দিকগুলিতে চেষ্টা করেও খরচ কমানোর উপায় নেই। তবে হেঁশেলের খরচ কমানো যায় সামান্য বুদ্ধি খরচ করলেই। ধরুন, আগের দিনের ভাত বেঁচে গিয়েছে। তা অনেকেই ফেলে দেন। বাসি ভাতগুলি ফেলে না দিয়ে, ডিম, বিনস্, গাজর, ক্যাপসিকাম দিয়ে ভাতভাজা বানিয়ে নিতে পারেন। গরমের সময় আলুভাজা, মাছভাজা আর পেঁয়াজ দিয়ে পান্তা খেতেও মন্দ লাগে না। তেমনই একটু মাথা খাটালেই অনেক সাধারণ জিনিস দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন সুস্বাদু খাবার। তাতে সময় বাঁচে, আবার খরচও কমে। রইল সংসারের খরচ বাঁচানোর আরও কয়েকটি সহজ টোটকা।
১) রোজ একটি করে কলার বেশি খান না, তবে একসঙ্গে এক ডজন কলা কিনে রাখেন প্রায় সকলেই। এ দিকে রোজ অফিস আর বাড়ি করতে গিয়ে কলা আর খেয়ে ওঠার সময় হয় না। এত দিন রেখে দেওয়ার ফলে কলাগুলি কালো হয়ে যায়। অগত্যা সেগুলি ফেলে দেবেন বলেই মনস্থির করলেন। দাম দিয়ে কলা কিনে ফেলে দেবেন? জানেন কি, কলা বেশি পেকে গেলে তা দিয়ে বেকিং ভাল হয়? কলা দিয়েই বানিয়ে ফেলুন কেক। এ ছাড়া রূপচর্চাতেও ব্যবহার করে নিতে পারেন পচা কলা।
২) যে কাজ প্রেশার কুকারে ১০ মিনিটে হয়ে যায়, তাতেই আমরা গ্যাস খরচ করে করি আধ ঘণ্টা ধরে। যে কোনও জিনিস সেদ্ধ করতে হলে প্রেশার কুকার ব্যবহার করাই ভাল। অযথা গ্যাস খরচ না করলে অনেকখানি সাশ্রয় হবে।
৩) বাজার থেকে ধনেপাতা, কারিপাতা কিনে আনার পর দিন কয়েকের মধ্যেই সেগুলি পচে যায়। তাই সেগুলিকে ধুয়ে কুচি করে জিপলক পাউচে ভরে ডিপ ফ্রিজে রাখতে পারেন। এতে দীর্ঘ দিন ভাল থাকবে। এ ছাড়া টিস্যুতে জড়িয়ে লম্বা কোনও টিফিনকৌটোতে ভরে ফ্রিজে রেখে দিলেও অনেক দিন ভাল থাকবে সেগুলি।
৪) টাটকা সব্জিগুলি বাজার থেকে কিনে আনলেও মুদির দোকানের জিনিসগুলি অনলাইনে বিভিন্ন অফার চলাকালীন কিনে ফেলতে পারেন। অনেকখানি টাকা সাশ্রয় হবে। বড় প্যাকেট অর্ডার করলে খরচ কমে বটে, তবে যে জিনিসগুলি হেঁশেলে তেমন ব্যবহার হয় না, সেগুলির বড় প্যাকেট ভুলেও কিনবেন না। অযথা অপচয় না করাই ভাল।
৫) সব্জি কেটে তার খোসা আমরা ফেলে দিই। অথচ আলু, ঝিঙে, পটলের খোসা বেটে পেঁয়াজ-রসুন দিয়ে সুস্বাদু পদ হয়ে যায়। তাতে কয়েকটা কুচো চিংড়ি পড়লে তো কথাই নেই, স্বাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
৬) হেঁশেলে মিক্সি, এয়ার ফ্রায়ার, ইলেকট্রিক কেটলি থাকলে ব্যবহারের পর অনেকেই বোর্ডের সুইচগুলি বন্ধ করতে ভুলে যান। ব্যবহার শেষে সব সময় সুইচ বন্ধ করার অভ্যাস করতে হবে।
৭) বাড়িতে রোজ পিৎজ়া, পাস্তা তৈরি হয় না। অযথা সেগুলির জন্য শিশি শিশি সস্ কিনে বাড়িতে জমিয়ে রাখবেন না। পিৎজ়া, পাস্তা, চাউমিন বানানোর সময় বাড়িতেই সস্ বানিয়ে ফেলুন। এতে রান্নার স্বাদও বাড়বে আর সাশ্রয়ও হবে।