প্রতীকী ছবি।
আগে বয়স বাড়লে হাঁটুর ব্যথায় ভোগার কথা শোনা যেত। এখন কম বয়সেও হাজার অশান্তি। কুড়িতেও অনেকে হাঁটু ব্যথায় কাবু হচ্ছেন। বাড়ি থেকে কাজের জেরে আরও বেড়েছে সমস্যা। খাটে বসে কম্পিউটরে মুখ গুঁজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটছে। আর তার সঙ্গে বাড়ছে পিঠ, কোমর, হাঁটুতে ব্যথা।
কিন্তু হাঁটু ব্যথা করছে বলেই তো রোজ ব্যথার ওষুধ খেতে পারবেন না। তাতে আরও নানা রকম শারীরিক সমস্যা বাড়বে। ফলে ঘরোয়া কিছু উপায় বার করতে হবে, যাতে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। জীবনযাপনে কিছু বদল অনেক কষ্ট কমিয়ে দিতে পারে। আর সঙ্গে যদি থাকে ঘরোয়া কিছু টোটকা, তবে তো সমস্যাই নেই। কী করবেন নিয়মিত হাঁটু ব্যথা হলে?
১) সবের আগে বুঝতে হবে ব্যথার ধরন। কোনও চোট পেয়ে ব্যথা বেড়েছে, নাকি আর্থরাইটিস— তা বোঝার চেষ্টা করুন। যে কোনও ধরনের ব্যথাই অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় নিজে যত্ন নিলে।
২) যদি বেকায়দায় লেগে গিয়ে হাঁটু ব্যথা হয়, তবে সবের চেয়ে বেশি জরুরি হল বিশ্রাম। কয়েকটি দিন কম নড়াচড়া করলেই ব্যথা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। বিশ্রামের সময়ে পা একটু উঁচু জায়গায় রাখুন। তাতে কাজ আরও দ্রুত হবে।
৩) কোথাও ধাক্কা খেয়ে বা পড়ে গিয়ে হাঁটুতে ব্যথা পেলে বারবার বরফ দিন। সঙ্গে সেই হাঁটুটি শক্ত করে ক্রেপ ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে রাখুন।
৪) সব সময়ে চোট লেগেই ব্যথা হবে, এমন নয়। হাঁটু ব্যথার একটি বড় কারণ হল ওজন। শরীরের ভার যত বাড়বে, হাঁটুর উপর তত চাপ পড়বে। তার থেকে ব্যথাও বেশি হবে। ওজন কমানোর সব রকম চেষ্টায় মন দিন। তাতে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে।
৫) হাঁটুতে এক বার ব্যথা হলে সহজে কমতে চায় না। তাই কিছু ব্যায়ামেরও সাহায্য নিন। তাতে ব্যথার এলাকাটি নমনীয় থাকবে। তা হলে ব্যথা কম সময় লাগবে। হাল্কা হাঁটাহাঁটি, সাইকেল চালানো কিংবা যোগব্যায়াম— যে কোনওটিই করা যেতে পারে নিয়ম মেনে। তবে চোট লেগে থাকলে এ ধরনের ব্যায়াম শুরুর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
৬) হাঁটুতে ব্যথার কারণ যা-ই হোক, ঠান্ডা-গরম সেঁক দিলে আরাম হবেই। তবে কখনওই সরাসরি বরফ দেওয়া ঠিক নয়। হয় কোনও আইস প্যাক ব্যবহার করুন কিংবা কোনও কাপড়ে বরফ বেঁধে নেবেন। ঠান্ডা সেঁক দেওয়ার পরে হাল্কা করে কোনও ব্যথার মলম লাগিয়ে রাখুন। আরাম হবে।
৭) হাঁটু ব্যথার সময়ে আরও একটি কাজ খুব আরাম দেয়। উষ্ণ জলে ভাল করে স্নান করলে বেশ অনেক ক্ষণের জন্য দূরে থাকবে ব্যথা। শরীর লাগবে ঝরঝরে।