নতুন জুতো পরলেও পায়ে ফোস্কা পড়বে না, কিন্তু কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
মহালয়া থেকেই চারদিক জুড়ে পুজো পুজো ভাব। জামা-ব্যাগ-গয়নার সঙ্গে কেনা হয়ে গিয়েছে ম্যাচিং জুতোও। ফ্ল্যাট কিংবা বক্স হিল, ওয়েজ কিংবা পেনসিল হিল— অনেক জুতোই ঢুকে পড়েছে আপনার শপিং ব্যাগে। কিন্তু চিন্তা শুরু জুতো-যন্ত্রণার কথা ভেবে!
প্রথমে ফোস্কা, তার পর চামড়া উঠে ক্ষত তৈরি হওয়া। যত দামি জুতোই হোক, নতুন জুতো পরে খানিক ক্ষণ হাঁটিহাঁটির পর বেশির ভাগ লোকেরই পায়ে ফোস্কা পড়ে। আর তখন ব্যান্ড এড, তুলো, ওষুধ ছাড়া জুতো পড়ার অবকাশ থাকে না। ফোস্কা পড়লে পরবর্তী ২-৩ দিন হাঁটা চলা করাও সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়। পুজোর বাকি দিনগুলিতে ঘোরাঘুরিটাই মাটি হয়ে যায়।
এ সমস্যা আপনার একার নয়। এ নিয়ে নাজেহাল হওয়ার উদাহরণও কম নেই। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে জুতো থেকে তৈরি ফোস্কা ও তার যন্ত্রণাকে রুখে দিতে পারেন সহজেই। কী কী ভাবে তা সম্ভব জানেন?
১) জুতো পরার আগের দিন রাতে কোনও ময়শ্চারাইজার, পেট্রোলিয়াম জেলি বা নারকেল তেল ভাল করে মাখিয়ে রাখুন জুতোর গায়ে। সারা রাত ও ভাবেই রাখুন। সকালে কোনও কাপড় দিয়ে তা মুছে পায়ে গলান জুতো। জুতো পরার সময় পায়েও মেখে নিন ময়শ্চারাইজার। এতে ফোস্কার ঝুঁকি কমে।
২) জুতোর নির্দিষ্ট কিছু অংশের চামড়া মোটা থাকলে ত্বকের সঙ্গে ঘষা লেগে ফোস্কা পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। সে ক্ষেত্রে ওই অংশগুলিতে ভাল করে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। এতে জুতোর চামড়া নরম হবে।
৩) ফোস্কা নিয়ে কষ্ট করে হাঁটাচলা করতে যাবেন না। ফোস্কার জায়গায় অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ও ব্যান্ড এড লাগান।
৪) ফোস্কা থেকে তৈরি হওয়া ক্ষতে দিনে বার তিনেক মধু ও অ্যালো ভেরা জেল লাগান। এই দুই উপাদান ফোস্কার ক্ষত শুকোতে সাহায্য করে।
৫) ফোস্কার জায়গায় টুথপেস্ট ব্যবহার করলেও আরাম পাওয়া যায়। এ ছাড়া ফোস্কা থেকে রেহাই পেতে বরফ দারুণ কাজের। তা ছাড়া সামান্য জলের সঙ্গে আটা গুলে থকথকে মণ্ডটি ফোস্কার উপর লাগাতে পারেন। এতেও ফোস্কার ক্ষত শুকোয় তাড়াতাড়ি। তবে বাড়াবাড়ি রকমের ক্ষত তৈরি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ও প্রয়োজনীয় অ্যান্টিসেপটিক লাগান।