প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজাভুজি, বাইরের তেল-মশলাদার খাবার বেশি খাওয়ার অভ্যাসও কিন্তু হার্টের অসুখের দিকে আমাদের ঠেলে নিয়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত।
জীবনযাপনে অনিয়মের ঠেলায় এখন অল্পবয়সিদের শরীরেও হানা দিচ্ছে হৃদ্রোগ। উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিসের মতো রোগ শরীরে বাসা বাঁধলেই হৃদ্রোগের বিষয়ও সতর্ক হওয়া জরুরি। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, মানসিক চাপ, উদ্বেগ বাড়িয়ে দিতে পারে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। এর পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজাভুজি, বাইরের তেল-মশলাদার খাবার বেশি খাওয়ার অভ্যাসও কিন্তু হার্টের অসুখের দিকে আমাদের ঠেলে নিয়ে যায়। কিছু সাধারণ উপসর্গ হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে, যা আমরা দেখেও অবহেলা করি। কোন কোন লক্ষণ দেখলেই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে?
১) হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে? তা হলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকতে পারে। শ্বাস নিতে কষ্ট হলে, দম আটকে এলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অযথা ফেলে রাখবেন না। হৃদ্যন্ত্রের কোনও রকম সমস্যা হলে ফুসফুসও অক্সিজেন কম পায়। তাই এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
২) এসিতে বসেও দরদর করে ঘামছেন? একটু কাজ করেই হাঁপিয়ে যাচ্ছেন? তা হলেও দুশ্চিন্তার কারণ রয়েছে। শরীরে রক্ত চলাচল ঠিকঠাক না হলে বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ঠিক মতো অক্সিজেন পায় না। তাতে হাঁপ ধরতে পারে।
৩) যদি মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে দেখেন দরদর করে ঘামছেন, তা হলে উপেক্ষা করবেন না। এই লক্ষণ কিন্তু হৃদ্রোগের ইঙ্গিত দেয়।
৪) বুকে ব্যথা বা চাপ লাগার মতো অনুভূতি হলে অবশ্যই চিকিৎসককে জানান। চোয়ালে ব্যথাও কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ হতে পারে।
৫) হঠাৎ করে জোরে নাক ডাকতে শুরু করেছেন? রাতে শোয়ার পরেই নাক বন্ধ হয়ে আসছে? গলা শুকিয়ে আসছে? এটি কিন্তু স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ হতে পারে। শরীরে স্লিপ অ্যাপনিয়া বাসা বাঁধলে কিন্তু সতর্ক হতে হবে, এই রোগের হাত ধরে হৃদ্রোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।