তামা, পিতলের বাসনই হোক বা রুপোর, দীর্ঘ দিন ব্যবহার না করলে তার গায়ে কালচে দাগ ধরে যায়। ছবি: সংগৃহীত।
জন্মাষ্টমীর পুজো যাঁদের বাড়িতে হয়, সেখানে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সকাল থেকে ভোগ রান্নার আয়োজন চলছে। ফল ধুয়ে, ঠাকুর সাজিয়ে, বাড়ির চৌকাঠে আল্পনা দেওয়ার আগে আরও একটি কাজ বাকি। ঠাকুরের বাসন ধোয়া। সারা বছর ঠাকুরকে ভোগ দিতে যে সমস্ত বাসন ব্যবহার করেন, তা তো আছেই। সঙ্গে বংশ পরম্পরায় পাওয়া বহু দিনের রুপোর বাসনগুলিও নামাতে হয় প্রতি বছর। তামা, পিতলের বাসনই হোক বা রুপোর, দীর্ঘ দিন ব্যবহার না করলে তার গায়ে কালচে দাগ ধরে যায়। সাধারণ বাসন মাজার তরল সাবানে তা উঠতে চায় না একেবারেই। তাই পুজো শুরু হওয়ার আগেই জেনে নিন সেই সব বাসন পরিষ্কারের ফিকির।
১) রুপোর বাসন
বংশ পরম্পরায় পাওয়া ফুলের কারুকাজ করা ঠাকুরের রুপোর রেকাবি, ছোট ছোট থালা, গ্লাস পরিষ্কার করতে ব্যবহার করতে পারেন দাঁত মাজার মাজন। থালা-বাসনের গায়ে মাজন মাখিয়ে কিছু ক্ষণ রেখে দিন। তার পর শুকনো সুতির কাপড় দিয়ে ঘষে মুছে ফেলুন। তার পরেও যদি দাগ না ওঠে সে ক্ষেত্রে বেকিং পাউডারের সঙ্গে জল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। সেই মিশ্রণ বাসনপত্রে মাখিয়ে রাখুন কিছু ক্ষণ। একই ভাবে শুকনো কাপড় দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন।
২) তামা-পিতলের বাসন
পুজোর বেশির ভাগ সামগ্রীই তামা বা পিতল দিয়ে তৈরি। ঠাকুরের থালা, বাসন থেকে শুরু করে ধূপদানি— সবই পুজোর আগে পরিষ্কার করতে হয়। পিতল, তামার বাসন থেকে দাগ তোলার সবচেয়ে ভাল উপায় হল তেঁতুলের ক্বাথ। তামা, পিতলের সামগ্রীর দাগ তুলতে তেঁতুলের ক্বাথ মাখিয়ে রাখুন মিনিট দশেক। তার পর ঘষে মেজে ফেলুন। তেঁতুল না থাকলে লেবুও ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে একটু বেশি সময় ধরে ঘষতে হবে।
৩) কাঠের বারকোশ
তালের বড়া ভেজে কাঠের বারকোশে রাখবেন। কিন্তু তার আগে সেই বারকোশটি ভাল করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। কাঠের জিনিস থেকে দাগ তোলার সবচেয়ে ভল উপায় হল বেকিং সোডা এবং লেবুর রস। এই দুই উপাদান মিশিয়ে কাঠের থালা বা রেকাবির গায়ে মাখিয়ে রাখুন। আধঘণ্টা পর গরম জলে ধুয়ে নিলেই তা একেবারে নতুনের মতো হয়ে উঠবে। তবে কাঠের বাসনে জল ধরে থাকলে তা কিন্তু সহজেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই রোদে, খোলা হাওয়া রেখে তা ভাল করে শুকিয়ে নিতে হবে। পুজো শেষে আবার ধুয়ে, শুকিয়ে তুলে রাখার আগে সামান্য সর্ষের তেল মাখিয়ে রাখলে কাঠের গায়ে ছত্রাক জন্মাবে না।