রাত পোহালেই জন্মাষ্টমী। ছবি: সংগৃহীত।
রাত পোহালেই জন্মাষ্টমী। কৃষ্ণের জন্মদিন উদ্যাপনের তোড়জোড় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। দোলনার সাজ শেষের পথে, কৃষ্ণসাজের সরঞ্জামও তৈরি। বাড়ির মা-কাকিমা, বৌমারা এখন থেকেই তৈরি হচ্ছেন আগামী কাল উপোস করার জন্য। অনেকে আজ থেকেই নিরামিষ খেতে শুরু করেছেন। সারা দিন উপোস করে থাকলে কিন্তু শরীরের প্রতি বাড়তি যত্ন নিতে হবে। কী কী নিয়ম মানলে, উপোস করেও শরীর চাঙ্গা থাকবে? রইল হদিস।
একেবারে খালি পেটে থাকা নয়
উপোস করলেও চেষ্টা করুন একেবারে নির্জলা উপোস না করার। উপোসের মধ্যে মরসুমি ফল খেতে পারেন। এ ছাড়া খাবারের তালিকায় নারকেল, কাজুবাদাম, আমন্ড, খেজুর, আখরোটও রাখতে পারেন। দইয়ের ঘোল, সাবুমাখাও খেতে পারেন।
বার বার জলে চুমুক
উপোসের দিনে বার বার জল খেতে হবে। জল খেলে পেট ভর্তিও থাকবে, খিদেও কম পাবে। দিনে ১০ থেকে ১২ গ্লাস জল খান। শরীরে জলের ঘাটতি হলে শরীর ঝিমিয়ে পড়ে, কাজ করতে অনীহা আসে। বার বার জল খেলে এমনটা হবে না। জল ছাড়া দুধ, ঘোল, লস্যি, ডাবের জল কিংবা আখের রসও খেতে পারেন।
ভাজাভুজি নৈব নৈব চ
লুচি, তালের বড়া, মালপোয়ার মতো ভাজাভুজি খেয়ে উপোস ভাঙবেন না। সারা দিন খাবার ও জলের অভাবে শরীরে ডিহাইড্রেশন হয়। তার উপর বেশি করে তৈলাক্ত খাবার খেলে শরীর আরও জল টানবে। শরীরে অস্বস্তিও বাড়বে। উপোসের পর হালকা খাবার খান।
মিষ্টিতে না
উপোসের দিন খালি পেটে অনেকেই মুখে একাধিক মিষ্টি পুরে ফেলেন। এই কারণে রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। একান্তই মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে খেজুর খেতে পারেন। খেজুর দিয়ে তৈরি মাখানার পায়েস, ফলের রায়তা, কলার স্মুদি খেতে পারেন। সাবুমাখা হোক কিংবা দইয়ের ঘোল চিনি বদলে গুড় ব্যবহার করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি
উপোস করলে পর্যাপ্ত ঘুম যাতে হয়, সে দিকে নজর রাখুন। আগের রাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোন। ঘুম সম্পূর্ণ হলে খিদে কম পাবে, শরীরও চাঙ্গা থাকবে।