ব্রণের সমস্যা কমাতে ব্যবহার করুন মুখের মিস্ট। ছবি: শাটারস্টক
শীতের দিনে ব্রণের সমস্যা কিছুটা বশে থাকলেও, গরম পড়তে না পড়তেই তা আবার মাথাচাড়া দেয়। বিশেষত যাঁদের ত্বকের ধরন তৈলাক্ত, তাঁদের সমস্যা হয় বেশি। বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় ঘর্মাক্ত ত্বকে চট করে ধুলো-ময়লা বসে যায়। জীবাণু সংক্রমণ বেড়ে যায়। ত্বকের সূক্ষাতিসূক্ষ্ম ছিদ্রমুখ বন্ধ হয়ে যায়। অতিরিক্ত সেবাম ক্ষরণের ফলে ব্রণের সমস্যা বৃদ্ধি পায়।
সমস্যার সমাধানে ক্লিনজ়িং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজ়িং-এর কোনও বিকল্প নেই। তবে রোদে তেতেপুড়ে ত্বক জ্বালা করলে, মুখ লাল হয়ে গেলে আরাম পেতে ব্যবহার করুন ফেসিয়াল মিস্ট। ঘরোয়া উপকরণে তৈরি স্প্রে শুধু গরমে আরাম দেবে না, বরং ত্বকের ছোটখাটো সংক্রমণও ঠেকাতে পারবে।
টি ট্রি অয়েল মিস্ট: ব্রণ এবং ফুস্কুড়ির মতো ত্বকের সমস্যা সমাধানে টি ট্রি অয়েল বেশ কার্যকর, কারণ এতে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে। গ্রিন টি বলিরেখা দূর করতে, ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, সেবামের ক্ষরণও নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে যায় না।
পদ্ধতি: ঈষদুষ্ণ জলে একটি গ্রিন টি-র ব্যাগ ভিজিয়ে রাখুন। চা ঠান্ডা হয়ে গেলে সেটি একটি স্প্রে বোতলে ভরে নিন। মিশিয়ে দিন কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল। ভাল করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ফ্রিজেও রাখতে পারেন। এতে মুখে ঠান্ডা স্প্রে ব্যবহার করা যাবে। আবার স্প্রে বোতল ব্যাগে রেখে দিতে পারেন। রাস্তাঘাটে রোদের তাপে কষ্ট হলে মুখে স্প্রে করে নিতে পারেন।
পুদিনা এবং ল্যাভেন্ডার অয়েল: এই দুই উপকরণই ত্বকের জন্য ভাল। প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ২ কাপ জলে এক মুঠো পুদিনাপাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। জল ঠান্ডা হলে ছেঁকে নিন। তার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। শুধু ব্রণযুক্ত ত্বক নয়, ল্যাভেন্ডার অয়েলে অ্যালার্জি না থাকলে যে কোনও ত্বকের জন্যই এই মিস্ট উপযোগী হতে পারে।
নিমের জল: শুধু ব্রণ নয়, গরমের দিনে ফুস্কুড়ি, র্যাশও খুব সাধারণ ব্যাপার। তবে সমস্যার সমাধান করতে পারে নিম। আয়ুর্বেদে নিমকে ঔষধি হিসাবে গণ্য করা হয়। এতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান। দু’কাপ জলে এক মুঠো নিমপাতা ফুটিয়ে নিন। জল ঠান্ডা হলে ছেঁকে বোতলে ভরে রাখুন। ফেস মিস্ট হিসাবে ব্যবহার করুন। ব্রণ কমাতে নিমজল অত্যন্ত কার্যকর।