সব কর্মীর প্রতি অত্যন্ত যত্নবান বাড়ির কর্তা। ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণ মুম্বইয়ের অল্টমাউন্ড রোডে পৃথিবীর অন্যতম দামি বাড়ি ‘অ্যান্টিলিয়া’। চার লক্ষ বর্গফুটের বাড়িটি ২৭ তলা। উচ্চতায় ৫৭০ ফুট। বাড়ির মালিক মুকেশ অম্বানী। অতলান্তিক মহাসাগরের একটি দ্বীপের নামে এই বাড়ির নামকরণ করা হয়েছে। এই বাড়ির অন্দরসজ্জা যে কোনও বিলাসবহুল হোটেলকেও হার মানাবে। জিম, বিউটি পার্লার, সুইমিং পুল, পঞ্চাশটি আসন বিশিষ্ট প্রেক্ষাগৃহ— এ তালিকা দীর্ঘ।
এত বড় বাড়িতে অম্বানী পরিবার তো থাকেই। সেই সঙ্গে বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আছেন ৬০০ জন কর্মচারীও। এঁদের মধ্যে বাড়ির এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তারক্ষীরাও রয়েছেন। তাঁদের মনোরঞ্জনের জন্য রয়েছে একটি বিশাল হল ঘর। অ্যান্টিলিয়াকে সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখেন এই কর্মীরাই।
সব কর্মীর প্রতি অত্যন্ত যত্নবান বাড়ির কর্তা। তাঁদের ভালমন্দের খবর নিজেই রাখার চেষ্টা করেন। তাঁরা না থাকলে তিনি এবং নীতু এত নিশ্চিন্তে সব কিছু সামলাতে পারতেন না, বেশ কিছু সাক্ষাৎকারে এমনটা জানিয়েছিলেন রিলায়্যান্স কর্তা। সূত্রের খবর, এক বার বাড়ির ছোট ছেলে আকাশ অম্বানী এক নিরাপত্তারক্ষীকে অসম্মান করেছিলেন। মুকেশ তা জানতে পেরে খুব রাগারাগি করেন। এমনকি, আকাশকে নিয়ে গিয়ে ওই নিরাপত্তারক্ষীর কাছে ক্ষমাও চাইয়েছিলেন।
বাড়ির কর্মীদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে সমান নজর অম্বানী-কর্তার। ২৭ তলা বাড়ির একটি তলা তাঁদের জন্য ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। খাওয়াদাওয়া থেকে মনোরঞ্জন— কোনও কিছুতেই নিজেদের সঙ্গে কর্মীদের ভেদাভেদ করেন না। প্রত্যেক কর্মীকে জীবনবিমা করে দিয়েছেন। কর্মীদের অনেকের সন্তানের পড়াশোনার খরচ চালান তিনি। ওই বাড়ির কর্মীদের মাসিক বেতন জানতে কৌতূহলী অনেকেই। কর্মীদের হাত খুলে বেতন দেন কর্তা। নিরাপত্তারক্ষী থেকে শুরু করে রান্নার পাচক— মাস গেলে অনেকেই বেতন পান ২ লক্ষ টাকা।