আনন্দবাজার অনলাইনের বিশেষ উদ্যোগ বৈশাখী আড্ডার দ্বিতীয় পর্বেও তাই অনুত্তমার সঙ্গী হয়েছেন এই প্রজন্মের দুই শিল্পী রাজনন্দিনী পাল এবং শিল্পী পূরব শীল আচার্য। ছবি- সংগৃহীত
ভ্যাপসা গরমে শান্তির বারিধারা নেমেছে সবে মাত্র। এমন আবগারি আবহাওয়ায় ঘর থেকে বাইরে বেরোতে না পারলে চায়ের সঙ্গে বাঙালি নিখাদ আড্ডা ছাড়া আর কী বা চাইতে পারে? তেমনই একটি অনাড়ম্বর আড্ডা নিয়ে ‘লোকে কী বলবে’-র বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রতি সোমবারের মতো এ দিনও হাজির হয়েছিলেন মনোবিদ অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই অনুষ্ঠান কোনও সমস্যার সমাধান করার জন্য নয়। বরং খোলা মনে ভাল-মন্দ আদানপ্রদান করার। আনন্দবাজার অনলাইনের বিশেষ উদ্যোগ বৈশাখী আড্ডার দ্বিতীয় পর্বেও তাই অনুত্তমার সঙ্গী হয়েছেন এই প্রজন্মের দুই শিল্পী রাজনন্দিনী পাল এবং শিল্পী পূরব শীল আচার্য।
ভ্যাপসা গরমে শান্তির বারিধারা নেমেছে সবে মাত্র। এমন আবগারি আবহাওয়ায় ঘর থেকে বাইরে বেরোতে না পারলে চায়ের সঙ্গে বাঙালি নিখাদ আড্ডা ছাড়া আর কী বা চাইতে পারে? তেমনই একটি অনাড়ম্বর আড্ডা নিয়ে ‘লোকে কী বলবে’-র বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রতি সোমবারের মতো এ দিনও হাজির হয়েছিলেন মনোবিদ অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই অনুষ্ঠান কোনও সমস্যার সমাধান করার জন্য নয়। বরং খোলা মনে ভাল-মন্দ আদানপ্রদান করার। আনন্দবাজার অনলাইনের বিশেষ উদ্যোগ বৈশাখী আড্ডার দ্বিতীয় পর্বেও তাই অনুত্তমার সঙ্গী হয়েছেন এই প্রজন্মের দুই শিল্পী, অভিনেত্রী রাজনন্দিনী পাল এবং শিল্পী পূরব শীল আচার্য।
কৃতি মা-বাবর সন্তান হওয়ার চাপ রাজনন্দিনী এবং পূরবের জীবনে কেমন প্রভাব ফেলেছে, বড় হয়ে ওঠার মুখে তারা কোন কোন ঘাত-প্রতিঘাতের সম্মুখীন হয়েছে, কথা হচ্ছিল সেই বিষয়ে। রাজনন্দিনী এবং পূরবের পরিবারের আবহ সম্পর্কে আঁচ পেয়েছেন আগেই। বাংলা গানের সঙ্গে পূরবের আত্মিক যোগ। সেই থেকেই বাংলা মৌলিক গান বাঁধা এবং গাওয়ার স্বপ্নে শান দেওয়া শুরু। এখানে সহজাত ভাবেই প্রশ্ন এসে যায় বাংলা মৌলিক গানের ভবিষ্যৎ নিয়ে। শ্রোতাদের মতামত নিয়ে। বাংলা গান, বাংলা ছবির পাশে দাঁড়াতে বলা মানুষরা কিসের পাশে দাঁড়াচ্ছেন? নতুন প্রজন্মের শিল্পী পূরবের কাছে অনুত্তমা জানতে চান তার অভিজ্ঞতার কথা। প্রথাগত গান ছেড়ে পূরব এবং তাঁর এক বন্ধু দীপরাজ নিজেদের মৌলিক গান তুলে ধরতে চেয়ে তৈরি করেছেন ‘আবোল তাবোল’। পূরব বলেন, “পুরনো গানের কভার নয়, নিজেদের লেখা এবং গাওয়া গান তুলে ধরব বলেই আমাদের পথ চলা শুরু। কিন্তু যা হয়, বাইরে অনুষ্ঠান করতে গেলে অন্য ভাষার গানও মানুষ শুনতে চান। সেই কারণেই হিন্দি বা ইংরেজি গান গাইতে হয়।” সেই সূত্র ধরে রাজনন্দিনী জানালেন শিল্পের অন্যান্য আরও মাধ্যমের কথা। তার মতে, “আমরা যে ইদানীং দক্ষিণী ছবি নিয়ে এত মাতামাতি করছি, তার কারণ শিল্পের কোনও ভাষা হয় না।”
অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী মা ইন্দ্রাণী দত্তের মেয়ে হওয়ার চাপ এখনও আছে রাজনন্দিনীর। নাচের অনুষ্ঠান করতে মঞ্চে উঠলে ভয় করে। কারণ সেখানে ভুল করলে শুধরে নেওয়ার জায়গা নেই। তাই যে কোনও কাজ নির্ভুল ভাবে করতে রেওয়াজ করার পক্ষপাতি তিনি। নিজের দিক থেকে কোনও ত্রুটি যেন না থাকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আক্ষেপ রাজনন্দিনীর গলায়। নিজের ভাষায় আরও ভাল কাজ করতে না পারার আক্ষেপ। রাজনন্দিনীকে কতটা ভাবায়? রাজনন্দিনীর উত্তর, “আক্ষেপ তো থাকেই। আমার বয়সি অনেকেই এখন মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন। তাঁর জন্য নতুন করে গল্প তৈরি করা হচ্ছে, লেখা হচ্ছে। আমার এখনও তেমন চরিত্রে অভিনয় করা বাকি। শুধু আমার কাঁধে গোটা একটা ছবির দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা হয়তো আমি এখনও অর্জন করতে পারিনি, আমার বয়সি ছেলেরা কিন্তু মুখ্য চরিত্রে কাজ করছে।” আবার একই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা নিয়ে স্বজনপোষণের অভিযোগের সম্মুখীনও হতে হয়েছে রাজনন্দিনীকে। দু’জনের কথা শুনে মনোবিদের মত, নতুন প্রজন্ম সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ না করে, তাদের ‘নতুন প্রজন্ম’ বলে আলাদা না করে দেওয়াই বোধ হয় ভাল।