প্রতীকী ছবি।
অনিয়মিত মাসিক, ওজন বেড়ে যাওয়া, মুখে রোমের আধিক্য— উপসর্গগুলি মোটামুটি চেনা। কারণ একটা বয়সের পর বেশির ভাগ মহিলারাই আক্রান্ত এই অসুখে। পোশাকি নাম পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম, সংক্ষেপে পিসিওএস। এই অসুখে হরমোনের তারতম্যের অভাব দেখা যায়। এমনকি ডিম্বস্ফোটনের ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়ে। ডিম্বস্ফোটন নিয়ে সমস্যা বাড়তে থাকলে তা কিন্তু ক্রমেই বন্ধ্যাত্বের দিকে চলে যেতে পারে। অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা থেকেও গর্ভধারণেও সমস্যা তৈরি হতে পারে। এই অসুখকে নিয়ন্ত্রণে রাখার একমাত্র উপায় সুস্থ ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা। পিসিওএস-এ আক্রান্ত মহিলারা সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য কী করবেন?
ওষুধ খেতে হবে
এই ধরনের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বেশ কিছু ওষুধ খেতে হতে পারে। এই ওষুধগুলি ডিম্বস্ফোটনকে নিয়মিত করবে। ডিম্বস্ফোটনের সমস্যা থেকেই যেহেতু বন্ধ্যাত্বের আশঙ্কা তৈরি হয়, তাই সে ক্ষেত্রে তাঁকে ‘ফার্টিলিটি’ সংক্রান্ত ওষুধ খেতে হবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
গর্ভধারণের জন্য সুস্থ ও স্বাভাবিক ওজনের প্রয়োজন। কারণ ওজন ঠিক থাকলে গর্ভাবস্থায় কোনও রকম জটিলতা সাধারণত দেখা যায় না। এই অবস্থায় বিএমআই বা ‘বডি মাস ইনডেক্স’ ১৮.৫ থেকে ২৪.৯-এর মধ্যে থাকা উচিত। অতিরিক্ত বিএমআই থাকলে গর্ভধারণের আগেই তা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। কারণ না হলে প্রিএক্লাম্পসিয়ার মতো জটিল সমস্যা, রক্তজমাট বাঁধা, গর্ভপাত ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
মানসিক চাপ কমাতে হবে
গর্ভাধারণের আগে কোনও অবস্থাতেই কোনও রকম মানসিক চাপ নেবেন না। এই সময় মন ভাল রাখতে গান শুনুন, হালকা ব্যায়াম বা যোগাভ্যাস করুন। বাড়িতে পোষ্য থাকলে তার সঙ্গে খেলতেও পারেন। এগুলি মনকে চাপমুক্ত রাখে ও সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা বাড়ায়।
নিয়ন্ত্রিত ডায়েট করতে হবে
পিসিওএস নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে নিয়ম মেনে ডায়েট করা খুব জরুরি। খাদ্যতালিকা থেকে জাঙ্ক ফুড একেবারে বাদ দিতে হবে। অতিরিক্ত ফাইবারযুক্ত, জিঙ্ক ও আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খান। রোজ পাতে রাখুন পাঁউরুটি, ব্রাউন রাইস, নানা রকম বীজ, দুগ্ধজাত খাবার। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমান। আর প্রচুর পরিমাণে শাক-সব্জি ও ফল খান।