কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে ছবি: সংগৃহীত
কষ্ট করলে যে কেষ্ট সত্যিই মেলে, তা আরও এক বার প্রমাণ করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের এক যুবক। ফুড ডেলিভারি সহায়ক হিসাবে কাজ করতে করতেই পাশ করলেন সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং। যুবকের নাম শেখ আব্দুল সত্তার। নিজেই একটি কর্মক্ষেত্র সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে নিজের জীবনযুদ্ধের কথা লিখেছেন।
কর্মক্ষেত্র সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে নিজের জীবনপঞ্জিতে আব্দুল লিখেছেন, শুধু ফুড ডেলিভারি সংস্থাতে কাজই নয়, অন্নসংস্থানের জন্য বেঙ্গালুরুতে একাধিক অ্যাপ-ক্যাব সংস্থার হয়ে গাড়িও চালাতে হয়েছে তাঁকে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু করে সারা রাত চলত তাঁর কাজ। আর তার পর সকালে কোনও মতে নাকে-মুখে গুঁজে বেঙ্গালুরুর একটি কলেজে পড়তে যেতেন। আব্দুলের বাবা পেশায় ঠিকাকর্মী। তাই বাড়ি আর নিজের পড়াশোনার খরচ চালাতে তাঁর আর অন্য কোনও উপায় ছিল না বলেই জানিয়েছেন তিনি।
আব্দুল লিখেছেন, ‘প্রাথমিক ভাবে লজ্জা লাগত। কিন্তু বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিয়েও অনেক কিছুই শিখেছি আমি।’ তাঁর দাবি, এই কাজের মধ্যে দিয়েই পোক্ত হয়েছে তাঁর কথোপকথনের শৈলী। বিফলে যায়নি তাঁর এই লড়াই। কষ্ট আর শ্রমকে আয়ুধ করে অবশেষে একটি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি পেয়ে গিয়েছেন আব্দুল। কিন্তু এত পরিশ্রমের পর পাওয়া চাকরি, কী করবেন বেতনের টাকা দিয়ে? আব্দুলের সহজ উত্তর, ‘মা-বাবার যত দেনা আছে, আগে সে সব শোধ করব।’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।