আসবাব কেনার আগে কী কী দেখা দরকার? ছবি: সংগৃহীত।
বড় বাড়ি, দালান, উঠোন, এখন সব অতীত। কাজের তাগিদে ভিড় বাড়ছে শহর, শহরতলিতে। স্থান সঙ্কুলানে বেছে নিতে হচ্ছে ফ্ল্যাট। বড় বড় শহরে দুই বা তিন কামরার ফ্ল্যাটের দামও আকাশছোঁয়া। ফলে, থাকার জন্য স্বল্প জায়গাই ভরসা।
নতুন ফ্ল্যাটে আসার পর অনেকেই পরিবারের পুরনো বড় কাঠের খাট, টেবল পালিশ করে ঢুকিয়ে দেন। এতে আসবাব কেনার খরচ হয়তো কিছুটা বাঁচে, তবে লাভ হয় কি কোনও? ছোট্ট ঘরে এ পাশ-ও পাশ ঘুরতে গেলেই ধাক্কা লাগে। ছোট ফ্ল্যাট হোক বা বাড়ি, সাজিয়ে তোলার জন্য এমন আসবাব বেছে নেওয়া দরকার, যাতে একটি জিনিস একাধিক কাজে লাগানো যায়। এতে ঘরের জায়গাও বাঁচাবে আবার প্রয়োজনও মিটবে।
সোফা আবার বিছানাও
এখন বহু ফ্ল্যাটেই আলাদা করে বসার জায়গা থাকে না। বদলে একটি বড় জায়গা কাজে লাগিয়ে এক পাশে খাওয়ার টেবল এবং অন্য পাশে বসার ব্যবস্থা করা হয়। বসার জায়গাটিতে রাখতে পারেন ‘ডে বেড’ রাখতে পারেন। এটি বসার জায়গা হিসাবে কাজে লাগানো যায়, আবার অতিথি এলে সেটি বিছানা হিসাবে ব্যবহার করা যায়। এর নীচে অনেক সময় জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থা থাকে। প্রয়োজনে এ রকম কোনও নকশা বেছে নিতে পারেন।
খাবার টেবল
বাছাই করে এমন খাবার টেবল কিনুন যেখানে বসে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করা যাবে। সে ক্ষেত্রে বাড়িতে টেবল-চেয়ার কিনতে হবে না। ঘরের জায়গাটি ফাঁকা থাকবে।
কফি টেবল
আধুনিক কফি টেবল শুধু শৌখিন নয়, একাধিক কাজেও লাগানো যায়। এমন কফি টেবল রয়েছে যার মধ্যে জিনিসপত্র রাখা যায়। আবার টেবলের একটি অংশ এমন কৌশলে বানানো হয় যেটি ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করার জন্য আদর্শ হতে পারে। আবার এমন কফি টেবলও হয়, যার নীচে চেয়ারগুলি ঢুকিয়ে রাখা যায়। এতেও জায়গা বাঁচে।
বসার জায়গা
বসার জন্য লোকজন বিভিন্ন ধরনের চেয়ার কেনেন। কিন্তু ঘরের আনাচকানাচে রাখার জন্য ছোট ছোট শৌখিন বসার জায়গা পাওয়া যায়। এগুলির ভিতরে জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থা থাকে। প্রয়োজনে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে চট করে নিয়েও যাওয়া যায়।
সাইডবোর্ড
এগুলি জিনিসপত্র রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়। টিভি রাখার জন্যও এটি ব্যবহার করা যায়। সুবিধা মতো এতে দেরাজ রাখতে পারেন। আবার পাল্লাও রাখা যায়। ঘরে কতটা জায়গা রয়েছে দেখে মানানসই সাইডবোর্ড কিনুন।