কফি মগ দিয়ে কী ভাবে ঘর সাজাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
শখের কফি মগ হাত থেকে পড়ে গিয়ে ভেঙে চৌচির। পছন্দের জিনিস ভেঙে গেলে কার না মনখারাপ হয়! আঠা দিয়ে সেই কাপ যদি জোড়াও যায়, তাতে আর কফি নিয়ে চুমুক দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, ফাটা কাপে খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়। খুব সামান্য চিড় ধরলেও, তাতে বাসা বাঁধতে পারে জীবাণু। তবে শখের জিনিসটি ফেলে না দিয়ে, নানা ভাবে তা দিয়ে ঘর সাজিয়ে নিতে পারেন।
টব
ঘরে সবুজের ছোঁয়া বেশ লাগে। মানি প্ল্যান্ট, জেড প্ল্যান্ট-সহ যে গাছগুলি অল্প পরিচর্চাতেই বেড়ে উঠতে পারে, তেমন কোনও গাছ ওই ভাঙা কফি কাপ জুড়ে নিয়ে টব বানিয়ে বসিয়ে ফেলুন। তার পর কাজ করার টেবিলে বা বারান্দার একফালি বাগানে মগ সমেত গাছটি সাজিয়ে রাখতে পারেন।
মগে আঁকিবুকি
আঁকার শখ থাকলে একরঙা কফি মগেই ফুটিয়ে তুলতে পারেন মনের মতো কোনও নকশা। যদি আঁকাতে পটু না হন, তা হলে রং দিয়ে কফি মগের গায়ে লিখতে পারেন মজার কোনও বাক্য বা অনুপ্রেবণামূলক উক্তি। তার পর সেই কফি মগটি খুদের পড়ার টেবিলে বা নিজের কাজের টেবিলে পেনদানি হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।
মোমদানি
ভাঙা মগ দিয়েও হতে পারে মোমদানি। চাইলে অবশ্য কাপের গায়ে রং করে নিতে পারেন। পাটের সরু সুতো আঠা দিয়ে মগের গায়ে পেঁচিয়ে তার উপর কোনও কৃত্রিম ফুল লাগিয়ে দিতে পারেন। নকশা করাটা নিজের ইচ্ছাধীন। আবার কোনও কিছু না করেও মগের ভিতরে বেশ বড় একটি সুগন্ধি মোমবাতি বসিয়ে রাখতে পারেন। মোমের মৃদু আলোয় ভাঙা মগের ফাটল বিশেষ চোখে পড়বে না। যদি মগের একাংশ ভেঙে গিয়ে থাকে, তবে সেটিকে না জুড়েই মোমদানি করে ফেলতে পারেন। সে ক্ষেত্রে মোমবাতির দৈর্ঘ্য কমিয়ে দিলেই হবে। ফাটা অংশ দিয়ে আলো দেখতে অন্য রকম লাগবে।
ময়লা ফেলার পাত্র
ক্লিনজ়ার ব্যবহার করার তুলো, ছোট কাগজের টুকরো এ সব ফেলার জন্য ঘরে ছোট একটা ময়লা ফেলার পাত্র হলে সুবিধাই হয়। ভাঙা কফির মগটি যদি বেশ বড়সড় হয়, তা হলে সেটিকে এই কাজেও লাগাতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে একটা ঢাকনা দরকার। সুন্দর কোনও কোস্টার সেই জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন।
ফুলদানি
মগের গায়ে কৃত্রিম ফুল ও পাতা আঠা দিয়ে আটকে নকশা করতে পারেন। আবার কোনও কিছু না করেও কাপে থোকা থোকা ফুল দিলে বেশ সুন্দর ফুলদানি হয়ে যাবে। একরঙা কফি মগ হলে তাতে সুন্দর করে চোখমুখ এঁকে দিলেও বেশ মানাবে।