সব্জি ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। ছবি: ফ্রি পিক।
বাজার থেকে কেনা সব্জি, ফলমূল ভাল করে না ধুয়ে খেলে পেটের গোলমাল হবেই। চিকিৎসকেরা সব সময় বলেন, আগে সব্জি বা ফল ধুয়ে নিয়ে তার পরে খাবেন। কারণ ক্ষেত থেকে যে সব্জি তুলে বাজারে বিক্রি হচ্ছে, তাতে কীটনাশক লেগে থাকা অস্বাভাবিক নয়।
এখন তো সব্জির ফলন বাড়াতে বিভিন্ন রকম কীটনাশকের ব্যবহার করা হচ্ছে। জৈব সারের বদলে নানা রাসায়নিক দেওয়া কীটনাশকের ব্যবহারও বেড়েছে। সেই সব রাসায়নিক, ফল বা সব্জির মাধ্যমেই আমাদের শরীরে ঢুকে বিভিন্ন অসুখবিসুখের কারণ হয়ে উঠছে।
সব্জি কী ভাবে ধুলে কীটনাশক পরিষ্কার হবে?
১. সব্জি বা ফল ধুয়ে নেওয়ার আগে ভাল করে নিজের হাত ধুয়ে নেবেন। উষ্ণ গরম জলে সাবান দিয়ে হাত ধোওয়ার পরেই সব্জিতে হাত দেবেন। এতে হাতে লেগে থাকা ধুলো ময়লা বা জীবাণু সব্জিতে যাবে না।
২. কাঁচা সব্জির গায়ে শুধু কীটনাশক নয়, ধুলোবালিও লেগে থাকে। তাই সবচেয়ে আগে সব্জি ভাল করে পরিষ্কার জলে ধুতে হবে। সব্জি কেটে আগে জলে ভিজিয়ে রাখুন। তার পর ভাল করে ধুয়ে নিন। ফ্রিজে তোলার আগেও সব্জি ভাল করে ধুয়ে নেবেন।
৩. আগে মা-ঠাকুমারা বাজার থেকে কিনে আনা সব্জি, শাকপাতা নুনজলে ধুয়ে নিতেন। বিশেষ করে শাকপাতা নুনজলে ভিজিয়ে রাখা হত বেশ কিছু ক্ষণ। তার পরে শাক ধুয়ে কেটে রান্না হত। এই পদ্ধতিতেই সব্জি বা শাকপাতায় লেগে থাকা কীটনাশকের প্রায় সবটাই ধুয়ে বেরিয়ে যায়। শাকে পোকা থাকলেও এই উপায়ে ধুলে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
৪. দোকান থেকে কিনে আনা রাসায়নিক মিশ্রিত কোনও দ্রবণে সব্জি ধোবেন না। বরং বাড়িতেই বানিয়ে নিন বেকিং সোডা ও জলের দ্রবণ। এই দ্রবণে সব্জি ভিজিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তার পর সেটি তুলে নিয়ে পরিষ্কার কলের জলে ধুয়ে নিন। ৯০ শতাংশ কীটনাশক ধুয়ে বেরিয়ে যাবে।
৫. সম পরিমাণে জল ও ভিনিগার মিশিয়ে দ্রবণ তৈরি করুন। এই দ্রবণে এক চিমটে নুন মিশিয়ে দিন। এ বার কাঁচা সব্জি, শাকপাতা, ফল এই দ্রবণে ডুবিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। তার পর দ্রবণ থেকে তুলে পরিষ্কার জলে ভাল করে ধুয়ে নিন। কাঁচা স্যালাড খেলে এই উপায়ে সব্জি আগে ভাল করে ধুয়ে নেবেন।