শুধু পুরনো কাঠের জিনিসেই নয়, সদ্য কেনা কাঠের আলমারিতেও ঘুণপোকা ধরতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
ঠাকুরমা-দাদুর স্মৃতিবিজড়িত খাট, আলমারি যত্ন করে রেখে দিয়েছেন। কিন্তু সারা ক্ষণ ভয়ে থাকেন, এই বুঝি ছাড়পোকার উপদ্রব শুরু হল! ঘরে পুরনো বইপত্র আছে। সেই সুবাদে উইপোকার আনাগোনাও বাড়তে পারে। কাজের চাপে সেই সব ভারী আসবাবে খুব একটা নাড়াচাড়াও পড়ে না। কিন্তু রাতে যখন চারপাশ নিস্তব্ধ হয়ে যায়, তখন খাটের ভিতর থেকে সমানে কাঠ গুঁড়ো করার শব্দ পাওয়া যায়। তবে শুধু পুরনো কাঠের জিনিসেই নয়। সদ্য কেনা কাঠের আলমারিতেও ঘুণপোকা ধরতে পারে। চোখের আড়ালে কখন ঘুণপোকা কাঠের আসবাবে ডেরা বাঁধে, তা বোঝা মুশকিল। তবে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে এই সমস্যার মোকাবিলা করা যায়।
বাড়িতে পুরনো আসবাব রাখতে গেলে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখতে হবে?
১) আসবাবের গায়ে ফাটল বুজিয়ে দিন
আসবাবপত্রের গায়ে ছোট ছিদ্র বা ফাটলের মধ্যে পোকামাকড়েরা বাসা বাঁধে। তাই পুরনো বা নতুন আসবাবে এমন কোনও গোপন কুঠুরি আছে কি না, তা খেয়াল করুন। থাকলে আগে সেগুলি বুজিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করুন।
২) নিয়মিত আসবাব মুছুন
হাতে সময় কম। তাই খুব বেশি কিছু করার প্রয়োজন নেই। নিয়মিত শুকনো কাপড় দিয়ে কাঠের আসবাব মুছলেও কাজ হবে। তবে কাঠের কোনও আসবাব ভিজে কাপড় দিয়ে মোছা যাবে না।
৩) রাসায়নিকের পরত
পুরনো কাঠের আসবাবপত্র দিনের পর দিন ভাল রাখতে হলে বছরে অনন্ত এক বার পলিশ করাতেই হবে। কাঠের আসবাবের উপর সাধারণত বার্নিশজাতীয় রাসায়নিকের পরত দেওয়া হয়। এই উপাদানের ঝাঁঝালো গন্ধের জন্যই পোকামাকড় দূরে থাকে। গন্ধের রেশ কেটে গেলে কিন্তু আবার পোকামাকড় আসতে পারে।