কোন উপায়ে গোছালে চট করে পড়ার টেবিল এলোমেলা হবে না? ছবি: ফ্রিপিক।
পড়াশোনা হোক বা ছবি আঁকা, কিংবা অবসরে গল্পের বইয়ের পাতা ওল্টানো, সন্তানের দিনের অনেকটা সময়ই কাটে পড়ার টেবিলে। একেবারে ছোট হলে, টেবিলটি বড়দের গুছিয়ে দিতে হয়। আবার সন্তান কিছুটা বড় হলে নিজেই বিষয়টি সামলে নিতে পারে।তবে গোছগাছ যেই করুক, সেটি অগোছালো থাকলে দেখতে ভাল লাগে না। মনোবিদেরাও বলেন, পড়ার টেবিলে পড়তে বসলে আর তা পরিচ্ছন্ন থাকলে মনঃসংযোগে সুবিধাও হয়। কিন্তু পড়ার টেবিল আজ গোছালে, কালই এলোমেলো হয় যায়। একটা বই বার করতে গেলে ছড়িয়ে যায় বাকিগুলি? প্রতি দিন গোছানোর চেয়ে কয়েকটি জিনিস কিনে নিলে কিন্তু কাজের সুবিধা হতে পারে।
মোবাইল এবং পেনদানি: পেন, পেন্সিল, স্কেল, রং, জেম্স ক্লিপ-সহ অসংখ্য ছোটখাটো জিনিস পড়াশোনা, স্কুল প্রজেক্টের জন্য দরকার হয়। মাঝেমধ্যে অনলাইন ক্লাসের জন্য মোবাইল বা ট্যাবেরও দরকার পড়ে। এমন জিনিস পাওয়া যায় যেখানে ছোটখাটো খাপ থাকে। এগুলিকে ‘ডেস্কটপ অর্গানাইজ়ার’ বলা হয়। এ রকম কিছু টেবিলে রাখলে ছোটখাটো জিনিস গুছিয়ে রাখতে সুবিধা হবে।
বইখাতা রাখার তাক: টেবিলের উপর বইখাতা সাজিয়ে রাখলে একটি নিতে গিয়ে অন্যটি এলোমেলো হয়ে যায়। বদলে টেবিলের উপর বইখাতা রাখার ছোটখাটো তাক কিনতে পারেন। এগুলিতে বই লম্বালম্বি ভাবে রাখা যায়। ফলে যেটি দরকার টেনে বার করে নেওয়া যাবে।
ম্যাগাজ়িন স্ট্যান্ড: পড়ার টেবিলে ম্যাগাজ়িন স্ট্যান্ড রাখতে পারেন। এতে বিভিন্ন ধরনের বই বা খাতা সাজিয়ে রাখলে, একটি নিতে গিয়ে অন্যটিতে হাত পড়বে না। ঘেঁটেও যাবে না।
গাছ: টেবিলে সবুজের ছোঁয়া ভালই লাগে। তবে শুধু গাছের টব না রেখে, গাছ, পেনদানি, চশমা রাখা যায় এমন কোনও স্ট্যান্ড কিনতে পারেন। চশমা এ দিক-ও দিক রাখলে অনেক সময় খুঁজে পেতে অসুবিধা হয়। স্ট্যান্ডে রাখার অভ্যাস করলে হারিয়ে যাবে না।