ঘরের জন্য গালিচা বাছার আগে কী কী দেখে নেওয়া দরকার? ছবি: সংগৃহীত।
আসবাবের চাকচিক্য না থাকলেও, খুব সাধারণ একটি ঘরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে মেঝেয় সুন্দর একটি গালিচা পাতা থাকলে। এমনিতে বছরভরই তা ব্যবহার করা যায়। তবে অনেক বাড়িতেই মেঝের ঠান্ডা থেকে বাঁচার জন্য শুধু শীতে গালিচা পাতার চল রয়েছে।
রকমারি রঙের, নকশার, আাকারের গালিচা পাওয়া যায়। কিন্তু শুধু কি কারুকাজ দেখলেই চলবে? গালিচা কেনার আগে কোন কোন বিষয়গুলি দেখে নেবেন?
ঘর অনুযায়ী নির্বাচন: বসার ঘর, শোয়ার ঘর, রান্নাঘর, না কি ঘরে ঢোকার প্যাসেজে গালিচা পাতবেন? পুরো ঘরেই পাতবেন, না কি শুধু ঘরের মাঝের অংশে? এই সব কিছুই গালিচা কেনার সময় মাথায় রাখতে হবে। শীতের দিনে বসার ঘরে সোফার নীচের অংশটুকুতে অনেকে নরম গালিচা রাখেন। এতে ঠান্ডা মেঝেতে পা দিতে হয় না। তবে চেয়ার বা সোফায় বসে পা ছড়িয়ে দিলে তা কতটা দূর যাচ্ছে, সেই বুঝে গালিচা কিনতে হবে। শোয়ার ঘরে অনেকেই বিছানা থেকে নামার অংশটিতে গালিচা রাখেন। সাধারণত, নরম, উলের গালিচাই এ জন্য উপযুক্ত। আবার বাড়িতে ঢোকার মুখে গালিচা পাততে গেলে, তা যাতে পায়ে লেগে কুঁচকে না যায়, দেখা দরকার। অনেক কার্পেটের নীচে রাবার দেওয়া থাকে, যাতে চট করে তা সরে না যায় বা কেউ পিছলে পড়ে না যান। তেমন কিছু কিনতে পারেন।
গালিচা না রাগ?
গালিচা বা রাগ দু’টি জিনিস এক রকম হলেও আয়তনে তফাত হয়। রাগ আকারে একটু ছোট। চেয়ারের নীচে, বারান্দায় পাতার জন্য রাগ বেছে নিতে পারেন।
নকশা
বিভিন্ন নকশা ও রঙের গালিচা হয়। কাশ্মীরি, পারসিক পরম্পরার কাজের পাশাপাশি আধুনিক বিভিন্ন রকম গালিচা পাওয়া যায়। জ্যামিতিক, একরঙা, ফুলেল— পছন্দমতো কোনও নকশা বেছে নেওয়ার আগে দেখে নিন ঘরের রং এবং আসবাবের সঙ্গে তা কতটা মানানসই হবে।
উপকরণ
পাতলা, মোটা, উলের, পাটের, হাতে বোনা, সুতির— বিভিন্ন রকমের গালিচা বাজারে লভ্য। উপকরণ ভেদে তার ব্যবহার, স্থায়িত্ব নির্ভর করে। যেমন রান্নাঘরে ব্যবহারের জন্য ওয়াটারপ্রুফ বা জল নিরোধী গালিচা কার্যকর। বারান্দাতেও তা ব্যবহার করা যায়। এগুলির সুবিধা হল, সাবান এবং জল দিয়ে পরিষ্কার করা যায়। কিন্তু, শোয়ার ঘরে ব্যবহারের জন্য উলের বা নরম কোনও উপকরণে তৈরি গালিচা বেশি মানানসই। বসার ঘরে ব্যবহারের জন্য পাতলা গালিচা নির্বাচন করতে পারেন, যা প্রয়োজনে জল দিয়ে কাচা যেতে পারে। কারণ, একাধিক মানুষজনের আনাগোনায় এগুলি তুলনায় নোংরা বেশি হয়।
আকার: শুধু আয়তাকার নয়, গালিচা এবং রাগ রকমারি আকারের হয়। গোলাকার, ডিম্বাকার, জ্যামিতিক— বিভিন্ন ধরনের গালিচার মধ্যে থেকে ঘরের জন্য মানানসই গালিচাটি বেছে নিতে হবে। যেমন, বসার ঘরে জ্যামিতিক নকশার বা বিমূর্ত আকৃতির কার্পেটও বেছে নিতে পারেন।